header banner

কেন আত্মহননের পথে?

article banner

গত ১২ই ডিসেম্বর কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু ঘটে স্বামী অক্ষয় মাঝির, তার পর কেটে গেছে দু-মাস। বারে বারে কতৃপক্ষের থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও জোটেনি কোনরকম ক্ষতিপূরন। পরিস্থিতির চাপে সন্তানকে নিয়ে সংস্থার গেটের সামনে বসে আছেন মৃতের স্ত্রী মৌমিতা মাঝি। সাথে রয়েছে কেরোসিন তেলের বোতল, আজকের মধ্যে ক্ষতিপূরন না পেলে সংস্থার সামনেই আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুরের পথে সময় গড়ালেও এখনও পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া আসেনি কম্পানি কতৃপক্ষের থেকে। 


মূলত পড়শি রাজ্য ওড়িষার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে হাওড়ার ধুলাগোড়ের নিউ রোডে ভাড়া বাড়িতেই বসবাস করেন তাঁরা।  গত ১০ বছরেরও বেশী সময় ধরে ধুলাগড় ফুড পার্কের একটি বেসরকারি কলম তৈরির কারখানায় মেকানিক পদে কর্মরত ছিলেন অক্ষয় মাঝি। কাজের সুবাদে মাঝে মাঝেই কারখানার বাইরে পাঠানো হতো তাকে বলে জানিয়েছেন মৃত অক্ষয় বাবুর স্ত্রী। কখনও বড়বাজার, কখনও ডানকুনি, এইরকম নানা জায়গায় যেতে হতো তাকে।  গত ১২ই ডিসেম্বর সকালে কাজে আসলে দুপুরে তাঁকে কোম্পানির কাজে বাইরে যেতে হচ্ছে বলে স্ত্রীকে ফোনে জানিয়েছিলেন তিনি, সেইদিনেই বিকেল ৫টা নাগাদ একটি ফোন করে তাঁকে জানানো হয় তাঁর স্বামীর দূর্ঘটনা ঘটেছে এবং তাকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  তারপরে অক্ষয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পথেই তার মৃত্যু হয়। তারপরে প্রথমে অক্ষয়ের স্ত্রীকে চাকুরী ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানালেও, এখন কিছুই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ মৃত অক্ষয়ের স্ত্রী মৌমিতার। এখন এই পদক্ষেপের পর সংস্থাটির পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাই দেখার বিষয়। 


{ads}

Factory Labor Death Office Office Workers Protest Mother Child Warning Suicide News Domjur Kolkata West Bengal India

Last Updated :