বিজেপি তৃনমূলের সদস্যদের নিজের ঘরে টানছে, তাতে “অন্যের অন্যের বউ নিয়ে সংসার করার কোন মানেই হয়না” এই কথাই প্রযোজ্য বলে মন্তব্য করলেন ফিরহাদ হাকিম। এছাড়াও সায়ন্তন বসু প্রসঙ্গে আজ তিনি বলেন, তৃনমূলের ঘর জ্বলছে না বা পুড়ছে না। যে দলের নেতৃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর নেতৃত্বে দল সর্বদা টিকে আছে এবং বাংলার উন্নয়নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে কাজ করে চলেছে বাংলার মানুষ সব সময় তার পাশে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী গান্ধীবাদ এবং জিন্দাবাদ-এ বিশ্বাসী, তাই তার পক্ষে কখোনই অনৈতিক কাজ করা সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি আজ জিতেন্দ্র তিওয়ারি কে নিয়েও মুখ খোলেন পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী। তার সম্পর্কে তিনি বলেন, যদি দল ছেড়ে তবে তিনি যেতেই পারেন তবে আসানসোলের নাম করে যাওয়ার কোন কারন নেই। হয়ত জীতেন্দ্র কোন চাপে রয়েছে তবে কিসের চাপে তা জানা নেই ওনার। এছাড়াও আসানসোলকে গ্রীন সিটির জন্য ৬৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, রাস্তাঘাট উন্নয়নের জন্য সহ এলইডি লাইট লাগানোর জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে এবং আলাদা শহর হিসাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। করে দেওয়া হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালও বলে জানান ফিরহাদ হাকিম। এতো কিছু প্রাধান্য দেওয়ার পরেও কোথা থেকে এতো কথা উঠে আসছে তা তার কাছে বোধগম্য নয় বলে সাঙ্গবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি। শীলভদ্র দত্তের দল ছাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন শীলভদ্র দত্তের বাঁচার কোন প্রশ্নই ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয় সহযোগিতায় তার অপারেশন হয় এবং তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন ।আর এখন তিনি দল ছাড়ছেন। তবে ফিরহাদ হাকিম শুনেছেন লোকাল তৃণমূল নেতার সাথে তার সেন্টিমেন্টাল কোন ইস্যু হওয়ায় তিনি দল ছাড়তে চাইছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তার কোনো সমস্যা হয়নি। তবে ফিরহাদ হাকিম চান শীলভদ্র দত্ত যেন তৃণমূল দল ত্যাগ না করেন।
রাজ্যে ভোট আসতে আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। তার উপর তাবড় তাবড় সব নেতৃত্বদের দল পরিবর্তনের ফলে ক্রমশ আরো সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহল। তৃনমূল ছেড়েছেন শুভেন্দু ও জীতেন্দ্র তিওয়ারি তার সাথে সাথে আরো বহু ঘাসের উপর জোড়া ফুলের সৈন্য যোগদান করেছে পদ্মফুলের সৈন্যবাহিনীতে। ভোটের আগের মুহূর্তে এহেন বাগযুদ্ধেই লড়াইয়ের সাক্ষী সাধারন জনগনকে প্রতিবারই হতে হয়। এবারেও তার ব্যাতিক্রম কিছুই হচ্ছে না, বরং এবারের পরিস্থিতিতে বাগযুদ্ধের লড়াই আরো বেশ কিছুটা গুরুতর আকার ধারন করেছে। সবশেষে ভোটের ময়দানে মানুষ পুরোনো ঘরেই ভরসা রাখবে নাকি নতুন গড়তে থাকা ঘরের হাতে দায়িত্ব তুলে দেবে সেখানেই উঠছে প্রশ্ন।
{ads}