header banner

মাছের দামে লজ্জায় মাংস

article banner

ভাইফোঁটা মানেই ভুরিভোজ। সকাল থেকে রাত অবধি নানা স্বাদের খাবারের বাহার টুকটাক লেগেই থাকে। আর খাবারের কথা মাথায় এলেই মিষ্টি ছাড়া মাথায় যা আসে তা হল মাছ আর মাংসের রকমারি জিভে জল আনা পদ। এবারের ভাইফোটায় মাংসের দাম নাগালের মধ্যে, মুরগীর মাংস ১৩০ কিংবা ১৪০টাকা আর খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা কেজি। তবে এবার মাছের চড়া দামে কার্যত মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। 


ভাইফোঁটার দিন সকালে মানিকতলা বাজারে অতিরিক্ত হারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। অন্যদিনের তুলনায় আরো বেশ কিছুটা দাম আরো বেশ কিছুটা চড়া। আজ ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে। যা কার্যত মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। বাকি মাছের মধ্যে গলদা চিংড়ির দাম ছিল ৫০০টাকা, বাগদা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ভেটকি মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আর পারসে মাছের দাম ছিল ৪০০ টাকা কেজি। তবে নাগালের মধ্যে বলতে গেলে ছিল বলতে একমাত্র রুই কাতলা, যা বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩৫০টাকা দামে। 
এই অগ্নিমূল্য মাছের বাজার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে। তার মতে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ মাছের দাম খানিকটা হলেও চড়া। ইলিশের দাম ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এতো চড়া দামে বিক্রি হওয়ার কোনও কারন নেই বলে মনে করছেন তিনি। কারন বাইরে থেকে মাছের চালান কলকাতা সহ শহরতলীতে ভালোই রয়েছে। তা সত্ত্বেও কিছু বিক্রেতা অতিরিক্ত চড়া দামে মাছ বিক্রি করছেন এবং তার ফলেই সৃষ্টি হচ্ছে এইরূপ পরিস্থিতির। তবে যেহেতু ভাইফোঁটা রয়েছে সেহেতু চড়া দামে হলেও মাছ কিনতে বাধ্য হচ্ছে সাধারন মানুষ। তবে এই কাজ করা একদমই অনুচিত বলে মনে করছেন রবীন্দ্রনাথ বাবু। মূলত এককথায় সুযোগ বুঝে মাছ সহ সাধারন মানুষের পকেটের উপরেও কোপ বসাচ্ছেন মাছ বিক্রেতারা। 
 

Fish Increasing Price Market Essential Goods Kolkata West Bengal

Last Updated :