header banner

১২৫ বছর ধরে কালীপূজায় বাঁকুড়ার সাঁতরা পরিবারে দেবীর আসনে পূজিতা হন বড়ো বৌমা

article banner

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়া: বিগত প্রায় ১২৫ বছর ধরে এক অন্যরকমের কালী পূজার সাক্ষী বাঁকুড়ার ইন্দাসের মীর্জাপুর গ্রাম। এখানকার সাঁতরা পরিবারের পূজোতে কোন মৃন্ময়ী মূর্তি নয়, মাকালীর আসনে পূজিতা ঐ পরিবারের বড় বৌমা। গলায় রক্ত জবার মালা, কপালে রক্ত চন্দনের তিলক। দেবীর সাজে সজ্জিতা ঐ মহিলাকেই এখানে কালী পূজার দিন নিষ্ঠা ভরে পূজা করা হয়। দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে প্রতিবছর এই রীতি মেনে গৃহকর্তীকেই পূজা করা হয় কালী রূপে। সকলের বিশ্বাস, কোন মূর্তি নয়, মা রয়েছেন মানুষের মধ্যেই।

{link}
ঘটনাচক্রে মীর্জাপুরের ঐ পরিবারের জামাই তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। এবার তিনিও হাজির ঐ পূজোয়। শ্যামল সাঁতরার শাশুড়ি বাড়ির বড় বৌমা হওয়ায় বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে তিনিই কালী রুপে পূজিতা হয়ে আসছেন। শ্যামল বাবু বলেন, দেবী স্বপ্নাদেশের মাধ্যমে কোন মূর্তি এনে নয়, বাড়ির বৌকেই এখানে মা কালী রুপে পূজা করা হয়। গত প্রায় ১২৫ বছরের প্রথা মেনেই পুজো হয়ে আসছে। একইভাবে সেই কারনে এবারও তাই হলো। এখানে সম্পূর্ণ তন্ত্র মতে পূজা হয়। এছাড়াও কূল পুরোহিতের পাশাপাশি বাড়ির বড় ছেলে পূজোতে অংশ নেন বলেও তিনি জানান। শ্যামল সাঁতরার স্ত্রী প্রীতিকণা সাঁতরা বলেন, আমার এই বাড়িতেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ছোটো থেকে তিনি তাঁর মাকে এভাবেই পূজিতা হয়ে আসছেন বলে জানান। প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার শ্বশুর মশাই কার্তিক চন্দ্র সাঁতরা বলেন, প্রতিটি মেয়ের মধ্যেই মা আছেন। আমার মা মায়ের হাত ধরেই এই পূজোর সূচণা। মা'কে ঠিক এইভাবেই পূজা করা হয়েছিল, সেই প্রথা আজও চলে আসছে। এখানে এই পূজোয় দ্বেষ, হিংসা মুক্ত সমাজের প্রার্থণা করা হয় বলে তিনি জানান। সাঁতরা পরিবারের এই পুজো কে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষদের মধ্যেও বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। বহু মানুষ এই দিনে দূর দূরান্ত থেকে পুজো দেওয়ার উদ্দেশ্যে ছুটে আসেন। 
{ads}

news Kali Puja Bankura 125 Years West Bengal সংবাদ

Last Updated :