নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহঃ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে চার যুবক মিলে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ মালদার বৈষ্ণবনগরে। ওই চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন নাবালিকার মা। তৎপরতার সঙ্গে দুই অভিযুক্তকে এর মধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
{link}
ঘটনাটি ঘটেছে বৈষ্ণবনগর থানার কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে এই মুহূর্তে বাইরে রয়েছেন। তিন মেয়ে আর দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি বাড়িতে থাকেন। রাতে তিনি তারাবির নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ঘুমিয়েছিল তাঁর ১৪ বছরের মেজ মেয়ে। সে স্থানীয় মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে এলাকারই চার দুষ্কৃতী আলমগীর শেখ, তোতা শেখ, সেলিম শেখ ও সুজন রবিদাস বাড়ির পাঁচিল টপকে ঘরের ভিতর ঘুমিয়ে থাকা তাঁর মেজ মেয়ের মুখে কাপড় চাপা দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি শিশুগাছের বাগানে নিয়ে গিয়ে তাঁর মেয়েকে চারজন মিলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে অজ্ঞান অবস্থায় একটি শিশু গাছের বাগানে খুঁজে পাওয়া যায় ঐ নাবালিকাকে। জ্ঞান ফিরলে সে সব কথা খুলে বলে। মেয়েকে নিয়ে স্থানীয়রা কুম্ভীরা ফাঁড়িতে যান এবং চার দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে সেলিম শেখ ও সুজন রবিদাসকে গ্রেফতার করেছে। চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। বাকি দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশি তল্লাশি শুরু করেছে। এদিকে ওই নাবালিকার মা ৪ দুস্কৃতির ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। ঘটনাটি ফের একবার রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করল স্বাভাবিকভাবেই। শেষ পর্যন্ত অধরা দুই যুবক কে পুলিশ কবে গ্রেপ্তার করে এবং তার পাশাপাশি ধৃতদের কি শাস্তি হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
{ads}
