শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : সম্প্রতি তৃণমূলের অন্দরে টাকার খেলা চলেছে, বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন 'পদ'- এই কথা বলে খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। আর সেই সূত্র ধরেই মাঠে নেমে পড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, মদন মিত্র একদম ঠিক কথা বলেছেন। তিনি বলেন, "কাকদ্বীপের এক ঠিকাদার ২০২১ সালে আইপ্যাকের অ্যাকাউন্টে ১১ কোটি টাকা দিয়েছেন। আইপ্যাকের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছেন।
{link}
আমার কাছে নথি রয়েছে।’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নেতৃত্বে গঠিত তৃণমূল যুবাকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, ‘আমাকে তাড়িয়ে এগারো সালে যুবা তৃণমূল হয়। তারাই এই টাকা সংগ্রহ করে। সব জেলায় তিনজন-চারজন করে নাম রয়েছে। যারা যুবা তৃণমূলের। যেমন হুগলিতে শান্তনু, কুন্তল ছিল।’' তিনি বলেন, ‘ষোলোর পর থেকে শুরু হয়েছে। আঠারোর পর থেকে প্রধান, অঞ্চল সভাপতির পদ-সহ সব বিক্রি হয়েছে।’ আসলে মদন মিত্র শুভেন্দুর হাতে বল তুলে দিয়েছেন।
{link}
তিনি বলেন, 'দলের মধ্যে একটা ব্যাপক টাকার লেনদেন হচ্ছে। আমি মদন মিত্র একটা MLA ছিলাম, আমার কোনও ক্ষমতাই ছিল না। রাতারাতি আমি এখন ১০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছি। তা এখন আমার পদ চাই। তা আমি বললাম ভাই আমায় একটা মন্ত্রী করে দে। না ভাই, মন্ত্রী হতে গেলে, ভাল মন্ত্রী হতে গেলে ১০ কোটি লাগবে, আমি ১০ কোটি দিয়ে দিলাম। মন্ত্রী হল কী হল না পরের কথা। যদি হয়ে গেলাম তাহলে ১০ কোটি থেকে ২০ কোটি বানালাম, আর যদি না হলাম ১০ কোটি চলে গেল। এফআইআর করা যায় না। কারণ, এর মধ্যে এর কোনও ডকুমেন্টস নেই।’ স্বাভাবিক কারণেই এই লোপ্পা বল পেয়ে বাউন্ডারী হাঁকাতে ব্যাট চালিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
{ads}