শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার ব্রিগেডে হয়ে গেলো ৫ লক্ষ হিন্দুদের 'গীতাপাঠ' অনুষ্ঠান। আর দুপুরে মুর্শিদাবাদ ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করলেন - তিনি ১ লক্ষ মুসলিমকে দিয়ে করবেন 'কোরনপাঠ'। আর আমাদের মতো সাধারণ ধর্মনিরপেক্ষ মানুষেরা ভীত সন্ত্রস্ত দাঙ্গার ভয়ে। চিরকাল পন্ডিত মানুষেরা বলে এসেছেন, ধর্ম ধর্মের পথে চলুক আর রাজনীতি রাজনীতির পথে। কখনো এই দুটোকে মেলাবেন না। এই দুটো মিশে গেলে দেশে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে। এবার কি সেই ভয়ঙ্কর দিকে যাবে বাংলা? সমস্যা হচ্ছে ভোটাররাও জড়িয়ে পড়ছেন এই ধর্ম ধর্ম খেলায়। আমাদের স্মরণে আছে কিছুদিনের আগেই মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গার সেই ভয়াবহ ঘটনা। বলতে দ্বিধা নেই ২০১১ সালের আগে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে অনেক অভিযোগ হয়তো ছিল, কিন্তু তখন ভোট হতো দেশ কাল সমাজ অর্থনীতির ভিত্তিতে। তার পর থেকেই মানুষ ভোট দেওয়া শুরু করলো ধর্মের ভিত্তিতে।
{link}
অনেকের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই মুসলিম ভোটের জন্যে মুসলিম তোষণ করে চলেছেন। আর তারই পরিণামে বাংলায় হিন্দুত্ববাদী বিজেপি শক্তিশালী হয়। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি টাকায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ মুসলিম সমাজ ভালো চোখে দেখেন নি। হিন্দু সহ মুসলিমদের বাড়িতে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ দেওয়াকে তারা আহত হয়েছে। এই সব কিছুর পরিনামেই হুমায়ুন কবীরের 'বাবরি মসজিদ' গঠন। ইতিমধ্যে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেছেন যে তিনি মুর্শিদাবাদে ১ লক্ষ মানুষের সমাবেশ ঘটিয়ে 'কোরানপাঠ' করাবেন! কোথায় গেলো দেশের কর্ম-সংস্থানের প্রশ্ন? হারিয়ে গেলো শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সামাজিক সমস্যার প্রশ্ন। অথচ এটাই হওয়া উচিত যেকোনো আদর্শ রাজ্যের রাজনৈতিক দাবি। তাই বলা হয় যখনই কোনো রাষ্ট্রে বা রাজ্যে ধর্মখেলা শুরু হবে - তখন তা রাষ্ট্র বা রাজ্যকে অন্ধকারে নিয়ে যাবে।
{ads}