দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে শেষে বাটি হাতে হুগলী নদী জলপথ সমবায় সমিতির কর্মীরা। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না। শেষ আগস্ট মাসের বেতন পেলেও সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে তারা বেতন, পূজোর বোনাস কোনোটাই পাননি। তাই, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় অভিনব পদ্ধতিতে আজ তারা ভিক্ষার মাধ্যমে প্রতিবাদে সামিল হলেন। {ads}
করোনার আবহে গোটা দেশ জুড়ে চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। রাজ্যে ধীরে ধীরে বেড়েছে বেকারত্ব। কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ। তাই দীর্ঘ লকডাউনের সময় বন্ধ ছিল ফেরী সার্ভিসও। পরে আনলক পর্বে ফেরী সার্ভিস চালু হলেও যাত্রী না থাকায় চরম আর্থিক অনটনে পড়ে যায় হুগলী নদী জলপথ সমবায় সমিতি। মূলত, হুগলী নদী জলপথ সমবায় সমিতি রেল যাত্রীদের ওপরই নির্ভর করে চলে। দীর্ঘদিন ধরে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে ভুগতে থেকেছে ফেরী চলাচল। যাত্রীশূণ্য অবস্থায় ফেরী সার্ভিস চলার কারণে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে লোকসানের বহর। ফলে সংস্থার স্থায়ী আমানত দিয়েই কর্মচারীদের বেতন দিতে গিয়ে সেই ভাঁড়ারটাও শুণ্য হয়েছে। পূজোর মুখে সমবায় মন্ত্রী অরুপ রায়ের উদ্যোগে অবস্থার সামাল দিতে প্রায় ২ কোটি টাকা দেওয়া হয় লোকসানে চলা হুগলী নদী জলপথ সমবায় সমিতিকে। কিন্তু তার পরেও বকেয়া রয়েছে শ্রমিকদের আরও দুমাসের বেতন। এই নিয়েই কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে ভীষণ রকমের ক্ষোভ। মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবিতে সরব হয়েছে কর্মীরা।
আপাতত সার্বিক অবস্থার সামাল দিতে পারলে আগামী দিনে সুদিন আসতে পারে হুগলী নদী জলপথ সমবায় সমিতিতে। আগামী বুধবার ১১ই নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। যাত্রী অভাবে ভুগবে না ফেরী সার্ভিস। ধীরে ধীরে বাড়বে ফেরী ঘাটের আয়। লাভের মুখ দেখবে সংস্থা। এমনটাই মনে করছে হুগলী নদী জলপথ সমবায় সমিতির কর্মীরা। {ads}