সৈন্যবাহিনী যে জোর কদমে সামনের রাজনৈতিক কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে, সেই খবর বোঝা গিয়েছিল বহু আগেই। আজ সেই মতোই বিপক্ষ শিবিরে কম্পন ধরিয়ে দেওয়ার উদ্দ্যেশ্যে সৈনবাহিনীর এক মহড়ার আয়োজন করেছিলেন সেনাপতি। উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি নিজেও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে দাপট লক্ষ্যনীয় হওয়ার কথা ভেবেছিলেন সেই চিত্র কার্যত ভেসে উঠল না জনগনের সামনে। মেঘের বহু গর্জন হলেও, বৃষ্টি তেমন হল কই?
অনেকটা এইরূপ একই চিত্র চোখে পড়ল হাওড়ায় বিজেপির মহা-মিছিলে। মিছিল হল, কিন্তু তার পাশে শব্দ হিসাবে ‘মহা’ লেখা হলেও সেটা বাস্তব চিত্রে হয়ে উঠল না। আজ বিজেপির এই পদযাত্রার দিকে নজর ছিল সারা রাজ্যের রাজনৈতিক মানুষজনের। কলকাতার পরে রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এক কেন্দ্র হাওড়া। নবান্নের অধিকার নিয়েই তো সামনের লড়াই। একসময় যে সকল সৈন্যদের বিক্রমে হাওড়ায় ঘাসফুল ফুটেছিল, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেহেন সৈনদের মুখ থেকেই ভেসে এসেছে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বানী। যার ফলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তবে কি তারা যোগ দিতে চলেছেন পদ্মের শিবিরে? আজ হয়ত কয়েক জন যোগ দিতেও চলেছেন বলে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। কিন্তু সেইরকম কোন বড় নামের যোগদানের খবরও আসেনি জনসভা থেকে। জনসভা থেকে শোনা যায়নি প্রবল বিক্রমে নতুন সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারীর দাপুটে চিৎকারও। তবে কি আজকের এই জনসভা বাড়তি অক্সিজের প্রদান করতে চলেছে ঘাসফুলের শিবিরে? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। সবশেষে গঙ্গাপারের “কুলিটাউন”-এ ভোটের পর যে কোন ফুল তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে চলেছে তা কিন্তু এখনও অস্পষ্টই রয়ে গেল। স্পষ্ট কথার দায়িত্ব মানুষের হাতে।