শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : পূর্ব বর্ধমাণে 'ড্রাম সিডার' পদ্ধতিতে খুব লাভজনক ধান চাষ হচ্ছে। আসল কথা হলো অজস্র ছিদ্র যুক্ত ড্রাম করে বীজ ছড়িয়ে দেওয়াকেই বলা হয় ড্রাম সিডার। তবে তার আগে বেশ কয়েকটা ধাপ অতিক্রম করতে হবে। সাধারণভাবে একটা প্রশ্ন জাগে - কী এই ড্রাম সিডার? এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লক বীজ খামারের কর্মচারি হেমন্ত দাস জানিয়েছেন, “বীজ প্রথমে জলে ভিজিয়ে নিতে হয় , তারপর সেখান থেকে অল্প অঙ্কুর বের হলে সেটাকে শোধন করে নিতে হয়।
{link}
সেই বীজ ড্রাম সিডারের ড্রামের মধ্যে রাখতে হয়। তারপর চাকাযুক্ত ড্রাম সিডার মেসিন জমির মধ্যে দিয়ে লাইন বরাবর টানলে, সেখান থেকে সমান ভাবে বীজ পড়তে থাকে। এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে গাছ তৈরি হয়। সাধারণ পদ্ধতির থেকে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ অনেক সুবিধাজনক।” পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লক বীজ খামারে এই ড্রাম সিডার পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে। এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি গ্রহণ করার ফলে শুধু ভালো বীজ বপন করা হচ্ছে তা নয়, খরচ অনেক কম হচ্ছে। জানা গিয়েছে , এই পদ্ধতিতে চাষ করার ফলে লেবার খরচ কম লাগছে। এছাড়াও অনেকে তাড়াতাড়ি বীজ রোপণ হয়ে যাচ্ছে।
{link}
রোগ পোকার আক্রমণ কম থাকার পাশাপাশি , এই পদ্ধতিতে চাষ করলে জল কম লাগবে। স্বভাবতই জলের খরচ কমে যাবে অনেকটাই। বর্তমানে আউশগ্রাম ১ ব্লকে বেশকিছু চাষি এই পদ্ধতির মাধ্যমে চাষও শুরু করেছেন। এই বিষয়ে বৃন্দাবন আঁকুড়ে নামের এক চাষি বলেন , “এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করে আমি খুশি। অল্প সময়ের মধ্যেই বীজ রোপণ করা যাচ্ছে। এছাড়াও আমাদের খরচও অনেক কম হচ্ছে।” এমনিতেই ধান উৎপাদন বর্ধমান চিরকাল বাংলার প্রথম স্থানে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করার ফলে পূর্ব বর্ধমানের আরও দ্রুত এগিয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
{ads}