শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির (Humayun Kabir) গত কয়েকমাস ধরেই বেসুরে গান গাইছিলেন। বার বার দল বিরোধী কথা বলে ফোকাশে আসছিলেন। এমন কি নতুন দল গড়ার কথাও বলেছিলেন। তারপরেই গত সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে তিন ঘন্টা মিটিংয়ের পরেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে বললেন, তিনি তৃণমূলেই (TMC) থাকবেন। সোমবার ছিল বহরমপুর এবং মুর্শিদাবাদের জেলার সাংগঠনিক নেতৃত্বদের নিয়ে মিটিং ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
{link}
এই সাংগঠনিক বৈঠকে ডাক দেওয়া হয়েছে হুমায়ুন-সহ তিন জেলার দশ বিধায়কদের। সংশ্লিষ্ট বৈঠক থেকে ভরতপুরের বিধায়ক কী সিদ্ধান্ত নেন সেই দিকেই তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল। দুপুর আড়াইটে থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলা তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে জানা গেল, ঘরের ছেলে থাকছেন ঘরেই। এ দিন বৈঠক শেষের পর হাসিমুখে বেরলেন তৃণমূল বিধায়ক। মিটিংয়ে কী হল সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই একগাল হাসি নিয়ে বললেন, “নো কমেন্টস…নো কমেন্টস।” তারপর বললেন, “বৃক্ষ তোমার নাম কী ফলে পরিচয়! আমি বৈঠকে সন্তুষ্ট। যা নির্দেশ দিল বলার মতো না। অভ্যন্তরের ব্যাপার। তবে, বৃক্ষ তোমার নাম কী ফলে পরিচয়।”স্বাভাবিক কারণেই বোঝা গেলো দল ছাড়ার রিস্ক হুমায়ুন কবির নেবেন না। বরং অভিষেকের কাছে তিনি গুড বয় হয়েই থাকতে চান।
{link}
ভরতপুরের বিধায়ক বরবরই সরব হয়েছিলেন দলের একাংশ সভাপতি ও জেলা পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম, খলিলুর রহমান, অপূর্ব সরকারদের বিরুদ্ধে। এত বছর ধরে দল করলেও তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ-অনুযোগ করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। তবে কোনওদিন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি তাঁকে। হুমায়ুনকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “যাঁরা সভাপতি রয়েছেন, তাঁরা সমস্যা। কোনও আলোচনা করেননি। কোনও গুরুত্ব আমি পাই না। বিধানসভার ক্ষেত্রে পাই না, ৬২ বছর ধরে যেখানে থাকি, রেজিনগর বিধানসভাতেও গুরুত্ব নেই। আমাদের থেকে যারা অনেক জুনিয়র, অপূর্ব সরকার হোক, কিংবা খলিলুর রহমান তাঁরা গুরুত্ব পাচ্ছেন।” এরপরেই তার ক্ষোভ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে অভিষেক।
{ads}