শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ করলেন স্বামী। সোমবার গভীর রাতে সোনানপুরের মহিষনগরের ঘটনা। নিহত প্রিয়াঙ্কা গায়েনের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তার স্বামী বাপি গায়েনকে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সোনারপুর (Sonarpur) থানা এলাকার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার মাহিনগরে। জানা গিয়েছে, ক্যানিংয়ের হেরোভাঙা এলাকার বাসিন্দা বাপি গায়েন বছর আটেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন প্রতিবেশী প্রিয়াঙ্কা গায়েনকে।
{link}
বিয়ের পর কাজের সূত্রে বাপি পার্ক সার্কাসের একটি কারখানায় চাকরি পান। তারপর স্ত্রীকে নিয়ে সোনারপুরের মাহিনগরে ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করেন। সেই ভাড়াবাড়ির পাশের ঘরেই থাকত সুপ্রকাশ দাস ও তার স্ত্রী। সূত্রের খবর, ধীরে ধীরে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুপ্রকাশের। শুরু হয় গোপন প্রেম। বিষয়টি জানতে পেরে অশান্তি শুরু হয় বাপি-প্রিয়াঙ্কার সংসারে। এরই মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র চলে যায় । তবুও সুপ্রকাশের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার সম্পর্ক ছিলই। দু'জনে মাঝে মাঝে ধানমাঠ এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে একসঙ্গে সময় কাটাতেন। এই খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বাপি। জানা গিয়েছে, স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করছিল প্রিয়াঙ্কা ও সুপ্রকাশ। সেই কথা ফোনে কথা বলার সময় শুনে ফেলেন বাপি। তারপরেই নিজের জীবন বাঁচাতে এবং প্রতিশোধ নিতে সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রীকে খুন করার।
{link}
সোমবার রাতে স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়তেই প্রিয়াঙ্কাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন বাপি। স্ত্রীকে খুনের পর নিজের অপরাধ স্বীকার করে সোজা সোনারপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করে । অভিযুক্ত বাপিকে জেরা করে ঘটনার সম্পূর্ণ তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুপান্তর সেনগুপ্ত তিনি জানান, ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সম্পূর্ণ বিষয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কি কারনে খুন সে বিষয় স্পষ্ট হওয়া যাবে।এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া। প্রতিবেশীদের একাংশ জানিয়েছেনা, বাপি-প্রিয়াঙ্কার মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। তবে এমন ঘটনা ঘটবে তা কেউ কল্পনাও করেনি। তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পরকীয়া থেকেই এই নারকীয় পরিণতি।
{ads}