শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : আজ, মঙ্গলবার আবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি হতে চলেছে রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত পোস্ট সৃষ্টি করা নিয়ে। এবার নজরে রাজ্যের তৈরি করা সুপারনিউমেরারি পোস্ট। যে মামলায় রাজ্যের মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, সেই মামলারই শুনানি হবে আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (D.Y. Chandrachud) হাইকোর্টের সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।
{link}
মঙ্গলবারের শুনানিতে কী বলবেন প্রধান বিচারপতি, সেদিকেই তাকিয়ে আছে রাজ্যবাসী। হাই কোর্টের নির্দেশে অনেকের চাকরি চলে যাওয়ার পড়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, একজনেরও চাকরি খেতে দেবো না। তারপরেই অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করা হয়। এখন প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে কি অতিরিক্ত পদ তৈরী করে অযোগ্যদের চাকরি বজায় রাখা যায়? সম্প্রতি ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করেছে উচ্চ আদালত। তারপরে মঙ্গলবারের এই শুনানি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ২০২২ সালের মে মাসে প্রায় ৬ হাজার সুপারনিউমেরারি পোস্ট বা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করেছিল মন্ত্রিসভা। তার আগে বেশ কিছু চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।
{link}
এরপরই ওই পদ তৈরি হয়, যা মন্ত্রিসভায় অনুমোদনও পায়। ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার জন্যই ওই পদ তৈরি করা হয়েছিল। সেই পদ নিয়ে মামলা হয় হাইকোর্টে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। পরে মামলা ডিভিশন বেঞ্চে যায়। হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়, সুপারনিউমেরারি পদ তৈরির সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। প্রয়োজনে সিবিআই মন্ত্রিসভার সদস্যদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে - এমন কথায় অনেকটাই সন্ত্রস্ত মন্ত্রীসভার একাধিক সদস্য।
{ads}