header banner

অনিশ্চয়তাই কি নিভাবে মঙ্গল প্রদীপ ?

article banner


ভারতবর্ষের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান ভীত ভারতীয় রেল , এবং এই রেলকে ঘিরে চলছে একাধিক পরিবার । লকডাউনের জন্য রেল বন্ধ থাকায় জমানো পুঁজি প্রায় শেষের পথে সেই পরিবার গুলো যাদের আমরা ট্রেনে প্রায় দেখতে থাকি , কখনো মুরি , কখনো পেন ইত্যাদি নানা প্রয়োজনীয় দ্রব্য হাতে , তাঁদের আমরা হকার বলি । যাদের জীবন ভারতীয় রেলের সাথে এক পরিবারের ন্যায় যুক্ত।
দীর্ঘ সাত মাস লকডাউনে  লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ ছিল ,এবং বন্ধ ছিল ট্রেনের উপর নির্ভরশীল করে মানুষগুলোর উপার্জন করার পথ। লোকাল ট্রেন চালু হলেও সেই ট্রেনে ওঠা মানা হকারদের।
রুটিরুজির আশায় বহু মানুষ ট্রেনে বই, ডটপেন, খেলনা, লজেন্স,  ফল, মিষ্টি, বাদাম, রুমাল নিয়ে ফেরি করতেন।সেই হকারদের রুজিরোজগার নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেল।{ads}


একপ্রকার অন্ধকারে ঢলে পড়েছে উলুবেড়িয়ার বিশ্বনাথ দাস, কাশীনাথ দাস, পল্টু মুখার্জীর মতন হকাররা।দীর্ঘ সাত মাস পর লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় হকাররা ভেবেছিলেন তাদের রোজগার ফের চালু হতে চলেছে। আশায় বুক বাঁধছিলেন তাঁরা। ট্রেন আসে ট্রেন যায় বিভিন্ন স্টেশন থেকে  উঠে আসে কেউ লজেন্স নিয়ে,কেউ পেন নিয়ে, কেউ বাদাম নিয়ে,আবার কেউ খেলনা নিয়ে।এই ভাবেই গতিবেগে প্রতিদিন চলত তাদের রুজিরোজগার।লকডাউনের জেরে হঠাৎই থেমে যায় ট্রেনের চাকা আর তাতেই থেমে যায় হকারদের হকারি করা।দীর্ঘদিন পর ট্রেন চলাচল শুরু হলেও শুরু হলো না হকারীদের হকারি করা। কিভাবে চলবে তাদের দিন কেউ তাঁরা জানেন না ।
দীর্ঘ সাত মাস পর রেলের চাকা এগোলেও তাঁদের ভবিষ্যতের মঙ্গল প্রদীপ কি জ্বলবে সেই বিষয়ে তাঁরা অনিশ্চিত ।{ads}

Indian Railway Lockdown Hocker Lifestyle Hocker struggling Banned Hocker West Bengal

Last Updated :