শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: কালীপুজো শেষ। রবিবার কয়েকটা প্রতিমা ভাসান হয়েছে। রবিবারই ভাসান দেওয়া হয় সিউড়ির বামদেব ক্লাবের বিশাল কালীমূর্তি। আর সেখানেই নজর কারে সেই কেশসজ্জা। কালীপুজোর বিসর্জনে অভিনব সাজ! সিউড়ির বামদেব ক্লাবের শোভাযাত্রা পুজোর থেকেও বেশী আকর্ষণীয়। এবছরও তার অন্যথা হল না। লাল চুল, কানে দুল নিয়ে বেরিয়ে পড়ল কিশোর থেকে যুবকের দল। তাদের একেকজনের একেকরকম চুলের বাহার। যেমন স্টাইল, তেমন রং! শুধু কেশসজ্জাই যে এত রঙিন, তা নয়। কিশোর, যুবকদের পরনে নানা ধরনের পোশাকও রীতিমতো নজর কাড়ল। রবিবার মাঝ দুপুরে সিউড়ির বামদেব ক্লাবের বিশাল কালীমূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা সারা শহর প্রদক্ষিণ করে। এখানকার প্রায় সমস্ত বাড়ির সকল সদস্য শোভাযাত্রায় শামিল হন। তাই জন্য এই দিনটায় একরকম অরন্ধন থাকে বিদেশিপাড়ায়। তবে এদিন চুলের বাহার দেখাতে অন্য পাড়ার ছেলেরাও অংশ নিয়েছিলেন শোভাযাত্রায়।
{link}
সারারাত ধরে চলে তাদের চুলের কসরত। কারও মাথায় চুল কেটেছেঁটে যেন আনারসের মতো করা হয়েছে। কেউ আবার মাথায় নিয়ে ঘুরছে বিশাল গিরগিটি! কারও চুল পাহাড়ের ধাপের মতো করে কাটা। ওই কিশোরদের কেউ দোকানের কর্মী, কেউ পড়ুয়া। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় চুলের এই বিশেষ বাহার করতে নাকি কেউ কেউ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত গাঁটের কড়ি খরচ করেছে! কিন্তু তার মধ্যেও বিশেষ আকর্ষণ হয়ে দাঁড়ায় নকল শব নিয়ে নাচ। শববাহীদের গায়ে সোনালি রং। যেন মনে হচ্ছে, শব বয়ে নিয়ে যাচ্ছে রোবট। তার সামনে এলোকেশী বহুরূপী সাজে মা কালী। এই চলন্ত ফ্যাশন প্যারেডে শামিল হন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনও। বামদেব ক্লাবের সম্পাদক অবিনাশ হাজরা বলেন, “৪৫ বছর ধরে এই ধারাবাহিকতা চলছে। বিসর্জনেরও একটা থিম থাকে। এবার তেমন কিছু ছিল না। তাই শোভাযাত্রায় শবযাত্রাকে শামিল করলাম।"
{ads}