header banner

মনের মানুষেরও সনে...

article banner

নিজস্ব সংবাদদাতা, নদীয়া: ‘মিলন হবে কতোদিনে, আমার মনের মানুষেরও সনে’, লালন সাঁইয়ের এই কথা বা গান আমরা শুনেছি সবাই। কিন্তু লালন সাঁইয়ের এই কথা থেকেই পাথেয় করে জীবনের প্রধান ব্রত হিসেবে নিয়েছেন নদিয়ার কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক তথা যাদবপুর চারু ও কারুকলা বিভাগের প্রাক্তনী, শ্রী স্বপন বিশ্বাস। শিক্ষা এবং কর্মজীবন শেষ করে তিনি তার জন্মস্থান নদিয়ার আসাননগর এর মাটিতেই ফিরে এসে তৈরি করেছেন মা সারদাময়ী আশ্রম ও তপবন। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থ ব্যয় করে নিজের উদ্যোগেই তিনি তার এই স্বপ্নের প্রকল্পটি তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন। 

{link}

তার নিজে হাতে গড়ে তোলা এই আশ্রমে লালন সাঁইজি থেকে শুরু করে মা সারদা, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সকলের কাঠের মূর্তি ও তৈলচিত্র সহ পেন্সিল স্কেস এর অপূর্ব সব চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তার হাতের নৈপুণ্যতায়। গাছের গুঁড়ি ও গাছের কান্ডকে শুধুমাত্র হাতুড়ি ও বাটালির সাহায্যে বা  তৈরী করেছেন অপূর্ব এক শিল্পকর্ম। নদিয়ার ভীমপুর লালনতীর্থ কদমখালীর লালন মেলা এই বছর ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু। সেই মেলায় লালন তীর্থ তার হাতের তৈরি নানান শিল্পকর্ম দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। তার হাতে আঁকা ছবি শোভা পাচ্ছে লালনমেলার আমন্ত্রণ পত্রেও। শুধু তাই নয় লালন সাঁইজির গুরু সিরাজ সাঁইজির কাল্পনিক চিত্র তার হাতুড়ি ও বাটালের মাধ্যমে ফুটে উঠছে এবারের লালন মেলায়। যা দেখতে সুদূর বাংলাদেশ ও আমেরিকা থেকেও আসছে নানান লালন ভক্তরা। এমন শিল্পকর্ম পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর দামে বিক্রিও হচ্ছে। তার আশা একটাই লালনের প্রচার ও প্রসার। 

{link}

এই প্রসঙ্গে লালন ভক্ত স্বপন বাবু জানান, কেউ যদি তার কাছে এই কাজ শিখতে চান তিনি সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে শেখাবেন। কান পাতলেই স্বপন বিশ্বাসের সম্পর্কে তার সম্বন্ধে এলাকায় শোনা যায় যে তিনি এত গুণের প্রতিভাবান হয়েও তিনি চলাফেরা করেন আর পাঁচটা সাধারন মানুষের মতো। বাজার ঘাট কিংবা চায়ের দোকান যেখানেই স্বপন বাবু বসেন তাকে ঘিরে থাকেন আর সাধারণ মানুষ। তার কাছ থেকে লালন সম্পর্কে শুনতে বা জানতে আগ্রহী মানুষের ভীড় সব সময় লেগেই থাকে। লালন সাঁইয়ের এহেন ভক্তের দর্শন বর্তমান সময়ে সচরাচর মেলে না বললেই চলে। 
{ads}

news Lalan Fakir Nadia West Bengal সংবাদ

Last Updated :