দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শুরু হল হাওড়ার পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব শাখার লোকাল ট্রেন চলাচল। স্টেশন চত্ত্বরে সকাল থেকে সাজো সাজো রব। পুলিশ এবং আর পি এফ বর্তমানে সম্পূর্ন পরিষেবা নজরে রাখছেন। স্টেশন গুলোর সামনে যাত্রীদের ভিড়। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮ থেক ১০ লক্ষ্য যাত্রী জাতায়াত করেন হাওড়া শাখায়। বেশ কিছু স্টেশনে যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশী ব্যাবস্থাও। যাত্রী থেকে শুরু করে কতৃপক্ষ প্রত্যেকেই অনেক উৎসাহিত। এখনও পর্যন্ত সব নিয়ম নীতি মেনেই চলছে সমস্ত কিছু। {ads}
লক্ষ্য লক্ষ্য নিত্য রেল যাত্রীদের দাবি মেনে শেষ পর্যন্ত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে চালু হল লোকাল ট্রেন। দীর্ঘ আনলক পর্বে দফায় দফায় খুলেছে সরকারি এবং বেসরকারি অফিস। কিন্তু লাইফ লাইন স্তব্ধ থাকার কারণে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারছিল না একটা বড়ো অংশের মানুষ। দীর্ঘদিন ট্রেন বন্ধ থাকার দরুণ যাত্রীদের অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। একে অত্যাধিক বাসের ভাড়া অন্যদিকে সব গন্তব্যস্থলের বাস না পাওয়া, সব কিছু মিলিয়েই তৈরী হয়েছিল নানান সমস্যা। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ সাত মাসেরও বেশি সময় পড়ে চালু হল লোকাল ট্রেন। কিন্তু আশঙ্কা একটা থাকছে। যাত্রীদের সচেতনতা এবং সতর্কতা না থাকলে সেই ক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। শুধু মাত্র রেল কতৃপক্ষের একক উদ্যোগে লক্ষ্য লক্ষ্য যাত্রীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। যাত্রীদের নিজেদের কথা ভেবে তাদেরকেই সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে। {ads}
দীর্ঘদিন পরে লোকাল ট্রেন চালু হবার ৭২ ঘন্টা আগে থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় রেলমন্ত্রক। বিভিন্ন স্টেশনগুলিতে করোনা সংক্রমণ রোধে ব্যাবস্থা নেওয়া হয়। স্যানিটাইজেশন প্যানেল এবং মাস্ক, যাত্রীরা যথাযথ ভাবে ব্যাবহার করছেন কিনা সে বিষয়ের ওপরে নজর রাখার কাজ শুরু হয়েছে। রেলের চাকা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে একদিকে যেরকম রেলের অর্থনীতির ভাঁড়ার তলানিতে ঠেকেছে আবার একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। যদিও, দীর্ঘ লকডাউন পর্বে চলেছে পণ্যবাহী রেল আর সেই সঙ্গে, রেল দায়িত্বের সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যে পৌছে দিয়েছে ওষুধপত্র এবং খাবার দাবার। একই সঙ্গে রেল মানুষের জীবনযাত্রা যাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত না হয় সেজন্য চালিয়েছে বেশ কিছু স্পেশাল ট্রেন। সার্বিকভাবে এখন এটাই দেখার যে যাত্রীরা কতটা সচেতনতা এবং সতর্কতার পরিচয় দিয়ে যাতায়াত করছেন। মনে রাখতে হবে, দায়িত্ব এবং কর্তব্য থেকে পিছলে গেলে সেই ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভয়ানক হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। {ads}