শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : 'প্রেম' শব্দটা খুবই আশ্চর্যের। এখানে থাকেনা কোনো রাজনৈতিক বাধা। এমন ঘটনাই ঘটলো মালদায় (Malda)। তৃণমূল কর্মীর বাড়ির ঢিলছোঁড়া দূরত্বে বিজেপির দলীয় কার্যালয়। স্থানীয় বিজেপি নেতার সঙ্গে ওই তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীর আলাপও হয়েছিল। দু’জনের মধ্যে কথাবার্তাও চলত। দিন কয়েক আগে তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান। একই দিন থেকে উধাও ওই বিজেপি নেতাও।
{link}
পরে কানাঘুষো শোনা যায় ওই বিজেপি নেতার সঙ্গেই পালিয়েছেন ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর স্ত্রী! ঘটনা জানাজানি হতে এলাকায় চাপা শোরগোলও পড়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশচন্দ্রপুরে। এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে দুই পরিবারও এই মুহূর্তে দুশ্চিন্তায়। স্ত্রীয়ের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করছেন ওই তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবার-পরিজন। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কৈলাসনগর এলাকায়। ওই এলাকাতেই তৃণমূল কর্মীর বাড়ি। বেশ কয়েক বছর আগে ওই তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল ওই তরুণীর। সেই আলাপ থেকে প্রেম। দুই বাড়ির সম্মতিতে দু’জনের চারহাত এক হয়। তাঁদের ছোট দুই সন্তানও আছে।
{link}
ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়ির উলটোদিকে ১০০ মিটার দূরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়। এলাকার এক বিজেপি নেতা ওই কার্যালয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন। সেই সূত্রে ওই নেতার সঙ্গে তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীর আলাপ-পরিচয় হয়েছিল। বিরোধী রাজনীতির হলেও স্ত্রীর সঙ্গে বিজেপি নেতার আলাপচারিতায় পেশায় টোটোচালক ওই তৃণমূল কর্মী আপত্তি করেননি। আর সেটাই কি কাল হল? এখন সেই প্রশ্নই জোরালো হচ্ছে। দিন কয়েক আগে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান ওই তরুণী। প্রথমে পরিচিত, আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে খোঁজখবর করা হলেও সন্ধান মেলেনি। এর মধ্যেই জানা যায়, ওই একই দিন থেকে উধাও বিজেপি নেতাও। পরে জানা যায়, তারা দুজনে একসঙ্গে পালিয়েছেন।
{ads}