header banner

নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার ভরা কোটালের জোড়া ফালায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস বকখালিতে

article banner

সুদেষ্ণা মন্ডল, বকখালি: বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঝড়ো হাওয়া দাপট। পূর্ণিমার ভরা কোটালের জোয়ারের জলে প্লাবিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকা। বকখালি ও গঙ্গাসাগরের জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। সমুদ্র স্নানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পর্যটকদের সমুদ্র সৈকত থেকে নিরাপদ আশ্রয় চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। দুর্যোগ মোকাবিলা ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে কাকদ্বীপে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং করা হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ন পরিস্থিতিতে কোনরকম দুর্ঘটনা যাতে না হয় তার জন্য তৎপর রয়েছে প্রশাসন।

{link}
দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ,ক্যানিং ,ডায়মন্ড হারবার, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা ,সাগর, নামখানা কাকদ্বীপের উপকূল তীরবর্তী একাধিক জায়গা পূর্ণিমার ভরা কোটালে জোয়ারের জলে প্লাবিত। পাথরপ্রতিমায় একাধিক এলাকা পূর্ণিমার ভরা কোটালে জোয়ারের জলে প্লাবিত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে চাষের জমি। সাগরের বঙ্কিমনগর ,সুমতি নগর, ধবলা লট সহ গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দির প্রাঙ্গণ পূর্ণিমার ভরা কোটালে জোয়ারের জলে প্লাবিত। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে গ্রামবাসীরা। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি নামখানা ব্লকের মৌসুনি দ্বীপের একাধিক জায়গায় প্লাবিত। 

{link}
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রতি বছর একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় তাদের গ্রামছাড়া হতে হয়। দুর্যোগের পরেই প্রশাসনের তরফ থেকে মাটির নদী বাঁধ সংস্কারের কাজ চালালেও কয়েক মাস পর আবারও সেই মাটি নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে হয় তাদেরকে। সুন্দরবনবাসীদের দাবি স্থায়ী কংক্রিটের নদীবাঁধ একমাত্র সমাধান সূত্র। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে দাবি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে দুর্যোগের ভ্রুকুটি এখন এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে তাকে কি আদৌ মোকাবিলা করতে সমর্থ প্রশাসন? 
{ads}

news low pressure Bakkhali West Bengal South 24 Paragana সংবাদ

Last Updated :