শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : এটা প্রত্যাশিত ছিল। অযোগ্য শিক্ষকদের বড়ো অংশ প্রচুর টাকার বিনিময়ে চাকরি কিনেছেন। আর একটা বড়ো সংখ্যার শিক্ষক হলেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী বা তাদের ঘনিষ্ঠ। দাগি শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ পেতেই অনেকটাই সামনে চলে এসেছে। খোদ বিধায়ক কন্যার নাম ছিল বাতিল শিক্ষকদের তালিকায়। শোরগোলও পড়ে গিয়েছিল চোপড়ায়। এরইমধ্যে এসএসসির (SSC) আদালতে যে হলফনামা দেয় সেখানে বেআইনি নিয়োগ হিসেবে বলা হয়েছিল চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে রোশনারা বেগমকে।
{link}
কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় দাগিদের যে লিস্ট সামনে আনা হয় তাতে নাম ছিল না রোশনারার। তা নিয়ে চাপানউতোর বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত মধ্যরাতে এসএসসির দাগি তালিকায় জুড়ল হামিদুল রহমানের মেয়ের নাম। ২০১৮ সাল থেকে কালীগঞ্জ হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন রোশনারা। এসএসসির হলফনামায় স্পষ্টতই তাঁর নিয়োগকে বেআইনি নিয়োগ হিসাবে জানিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু কাল প্রকাশিত প্রথম তালিকায় অর্থাৎ যে ১৮০৪ জনের নাম সামনে আনা হয়েছিল তাতে নাম ছিল না রোশনারার। কিন্তু বিতর্ক শুরু হতেই দেখা যায় মাঝরাতেই তৃতীয় তালিকায় যুক্ত হল বিধায়ক কন্যার নাম। শুধু বিধায়ক কন্যারই যে নাম রয়েছে এমনটা নয়। তালিকায় তৃণমূল কাউন্সিলর (TMCCouncilor) যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিও।
{link}
হুগলির খানাকুলের দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য বিভাস মালিকের নাম রয়েছে তালিকায়। একইসঙ্গে নাম রয়েছে তাঁর স্ত্রীরও। তালিকায় রয়েছেন হিঙ্গলগঞ্জের তৃণমূল সভানেত্রীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল। নাম রয়েছে হুগলির জেলা পরিষদের সদস্য সাহিনা সুলতানার। রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার অন্তর্গত জলচক অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি অজয় মাঝির নাম। রয়েছে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষের নাম। রয়েছে পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষের পুত্র বধূর নাম।
{ads}