শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে। তাঁর কোচ বিহার সফরের আগেই উত্তরবঙ্গের দুই নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও উদয়ন গুহর মধ্যে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। সেই নিয়েই এবার হস্তক্ষেপ করলেন মমতা। কোচবিহার সফরে এসে দলের অন্দরে কার্যত ঐক্যের বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। এই আবহের মধ্যেই কোচবিহার সফরে এসেছেন দলনেত্রী। দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক (হিপ্পি), মন্ত্রী উদয়ন গুহ ও পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে এখন। সেই রবীন্দ্রনাথ ঘোষকেই জেলা পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে চা খাওয়ানোর পরামর্শ অভিজিৎ দে ভৌমিককে দিলেন সুপ্রিমো। দলের একটি বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সোমবার কোচবিহার রবীন্দ্রভবনে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা শেষ হওয়ার পর সভামঞ্চের বাইরে পর্যায়ক্রমে বংশীবদন বর্মন, রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে ডেকে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে প্রায় আট মিনিট ধরে কথা বলেন তিনি।
{link}
এরপর অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন। সেখান থেকে মদনমোহন মন্দিরের উদ্দেশে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক দলের সুপ্রিমোকে জেলা তৃণমূল পার্টি অফিসে চা খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী অভিজিৎবাবুকে পরামর্শ দেন, রবিবাবুকে জেলা কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে চা খাওয়ানোর। মুখ্যমন্ত্রীর এই ইঙ্গিতে রবি বনাম অভিজিৎ সহ অন্যান্য নেতৃত্বের মধ্যে দূরত্ব ঘুচবে কি না তা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী জেলা থেকে চলে যাওয়ার পরই বোঝা যাবে। এদিকে, মন্ত্রী উদয়ন গুহও এদিন মদনমোহন মন্দির থেকে বেরিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, তৃণমূলের এখন বড় ঘর। সেই ঘরে সকলকে নিয়েই থাকার বার্তা দিয়েছেন নেত্রী। বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, মদনমোহন মন্দির থেকে বের হওয়ার সময় অভিজিৎ দে ভৌমিক মুখ্যমন্ত্রীকে পার্টি অফিসে চা খেতে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। সেই সময় তিনি জেলা সভাপতিকে বলেছেন রবিকে নিয়ে গিয়ে চা খাওয়াও। এদিন সভা শেষে নেত্রীর সঙ্গে প্রায় আট মিনিট কথা হয়েছে আমার। বেশকিছু উপদেশ দলনেত্রী আমায় দিয়েছেন।
{ads}