header banner

সিংহাসন তো রইল... শূন্যস্থান পূরন হবে কি?

article banner

একাধিক শক্তিশালী সৈনিক ও সেনাপতির বিপক্ষ শিবিরে যোগদান, তার উপর দলে থাকা অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ন ও শক্তিশালী সৈনিকের বেসুরো স্লোগান। সব মিলিয়ে বর্তমানে বেশ অনেকটা ব্যাকফুটে ঘাসের উপর জোড়াফুলের শিবির। যার মধ্যে একটা বৃহত্তর ক্ষোভের আগুন লেগেছে হাওড়ার সৈন্যবাহিনীতে, অধিকাংশ সেনাপতিই বেঁকে বসেছেন। অন্যদিকে ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে সামনের একুশের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ। তাই সেই যুদ্ধের কথা মাথায় রেখেই ঘুরপথে ফের অবজার্ভার ফিরল ঘাসফুল শিবিরে। দলের অন্যতম শক্তিশালী সেনাপতি ফিরহাদ হাকিমকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হল হাওড়ার। 


সামনের বিধানসভা নির্বাচনের উপর নজর রেখেই দলকে ফের ঢেলে সাজাচ্ছেন তৃনমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের আগেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দলের অবজারভারের পদ তুলে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর এই অবসার্ভার পদ তুলে নেওয়াকে কেন্দ্র করেই সংঘাত বেঁধেছিল দলের সুপ্রিমোর সাথে শুভেন্দু অধিকারীর। তার দাবি না মানার ফলেই দল ছেড়ে বিপক্ষ শিবিরে যোগ দেন শুভেন্দু। এবার সেই পদ না থাকলেও ঘুরপথে সব জেলায় সংগঠনের উপর পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হল দলের একাধিক সিনিয়ার নেতাকে। কিছুদিন আগেই দল ত্যাগ করেছেন লক্ষীরতন শুক্লা, তার দলত্যাগের পর তৃণমূলের হাওড়া জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অরূপ রায়ের ঘনিষ্ট  ভাস্কর ভট্টাচার্যকে, এর সাথেই লিখিতভাবে না হলেও হাওড়া জেলার সংগঠনের উপর নজর রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিম। সূত্রের খবর অনুযাই মঙ্গলবারই এই দায়িত্ব পেয়েছেন ফিরহাদ। এবং দায়িত্ব পাওয়ার পরেই  রাজীব বন্দোপাধ্যায়কে ফোন করেন তিনি বলেও সূত্রের খবর রয়েছে। রাজীব বাবু কে ফোন করে দলের ও দলনেত্রীর উপর তার কোন ক্ষোভ আছে কি না সে কথা জানতে চাওয়া হয়েছে পাশাপাশি তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে দলনেত্রীর সাথে দেখা করার। হাওড়ার পাশাপাশি হুগলী, মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলারও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। 


বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে ছোট বড়ো বহু নেতা দল ছেড়েছেন। যার ফলে প্রতিবারের ভোটের আগে রাজ্যে তৃনমূলের যে দাপুটে চিত্র লক্ষনীয় হয়, তা এবারে অধরাই। ক্রমশ একের পর এক ইট খসে পড়ে ভাঙন ধরাচ্ছে তৃনমূলের প্রাসাদে। এই ভাঙন রুখতেই কি তবে এই পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর? সম্ভবত তাই বলেই মতামত রাজনৈতিক মহলের। বর্তমানে দলের ভাঙন রুখতেই প্রতিটি জেলাকে একজন সিনিয়র নেতার নজরদারিতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সংগঠনের মধ্য়ে কোনও অভিযোগ, সংঘাত, ক্ষোভ থাকলে তা সামাল দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের ওইসব শীর্ষ নেতাদের। কিন্তু মন্ত্রীসভা থাকলেও সেই চিরাচরিত বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর আসন বর্তমানে খালি। পড়ে থাকা মন্ত্রীদের মনে জমে থাকা ক্ষোভ কমিয়ে এই পদক্ষেপ লড়াইয়ের ময়দানে ঘাসফুল শিবিরে জয়ের ফুল ফোঁটাতে সক্ষম হবে কি? প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যাচ্ছে। 

{ads}

Mamata Bannerjee Firhad Hakim Subhendu Adhikari Rajib Bannerjee Arup Roy Lakhsmiratan Sukla Howrah Election 2021 Kolkata West Bengal India

Last Updated :