শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: মমতা বললেন - মানবিক রায়। শুভেন্দু বললেন - আগের রায় ছিল তথ্য বৃত্তিক কিন্তু এই রায় শুধুই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে। ফলে, বুধবার দেওয়া আদালতের রায়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চোখে পড়ল রাজনৈতিল মহলে। গেরুয়া পক্ষের প্রতিনিধিরা যে এই রায়ে খুব একটা সন্তুষ্ট হননি সেই বিষয়টি স্পষ্ট। অপরদিকে, একাধিক বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা তৃণমূল এই রায়ের কারণে কিছুটা হলেও স্বস্তির দেখা পেয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় ছিল তথ্যভিত্তিক। আর ডিভিশন বেঞ্চের রায় হল মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে।' তাঁর বক্তব্য, 'বিচারব্যবস্থার প্রক্রিয়া এক হওয়া উচিত।' তিনি দাবি করেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই সঠিক ছিল, কারণ তা ছিল বাস্তব তথ্যের উপর দাঁড়ানো। একইসঙ্গে শুভেন্দুর মন্তব্য, 'সরকার নিজেই স্বীকার করে নিল যে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়মমাফিক হয়নি। আদালত প্রথম মানবিক দিক থেকে রায় দিল। এতে অযোগ্যরা একটা বড় অস্ত্র পেয়ে গেল।' তিনি জানান, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ হলে আরও বিশদ বিশ্লেষণ করবেন। এবং বঞ্চিতদের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পথ খোলা আছে।
{link}
এদিন আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট নন বাম সাংসদ ও বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও। তাঁর অভিযোগ, 'চাকরি আপাতত বাঁচলেও এই রায়ে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রশ্রয় পেল। এটি ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।' আদালতে যে দুর্নীতির তথ্য জমা পড়েছে, তা আইনের দিক থেকেও গুরুতর। তবু সেগুলি যদি বিচার প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব না পায়, তাহলে ভবিষ্যতে দুর্নীতি আরও বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিকাশবাবু। বিকাশবাবুর সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন বামপন্থী বুদ্ধিজবীরা।
{ads}