header banner

দূরদর্শনে প্রথম মহালয়ার মহিষাসুর, অশোকনগরের 'অসুর-কাকু'-র দিন কাটছে কিভাবে জানেন?

article banner

নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘আশ্বিনেরও শারদপ্রাতে’- মহালয়ার দিন ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে প্রতি বছর প্রারম্ভ হয় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর। মহালয়ার দিন বাঙালির দিন শুরু হয় রেডিওর অনুষ্ঠানের হাত ধরে। বছরের পর বছর ধরে এই রীতির কোন পরিবর্তন হয়নি। রেডিওর অনুষ্ঠানের পরেই বাঙালির কাছে মূল আকর্ষন টিভির মহালয়া। বর্তমানে নাম বদলে বেসরকারি চ্যানেলগুলিতে একাধিক এহেন মহালয়া অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও তার নাম দুর্গতিনাশীনি, কোথাও আবার মহিষাসুরমর্দিনী। আধুনিক সময়ে সেই একাধিক বিরাট বিরাট বাজেটের মাঝেও এখনও আকর্ষন হারায়নি বাংলা টেলিভিশনের প্রথম প্রচারিত মহালয়া অনুষ্ঠান। দুরদর্শনে প্রথমবার মহালয়া দেখানো হয়েছিল নব্বইয়ের দশকে। তাতে প্রধান অসুরের ভূমিকায় ছিলেন অশোকনগরের বাসিন্দা অমল চৌধুরী। অশোকনগরের ‘অসুর কাকু’-র অভিনয় ও হাঁসি দেখে যে কোন শিশু ভয় পাবে এখনও। আজ বর্তমান সময়ে অভাব অনটনের মাঝে অশোকনগরে কোনক্রমে চলছে তার সংসার। 

{link}
মাঝবয়সী অমল চৌধুরী অশোকনগরের বাসিন্দা।  প্রথম দুরদর্শনে যে মহালয়া দেখানো হয়েছিল তার প্রধান  অসুরের চরিত্রে ছিলেন অমলবাবু। এলাকায় তাকে অনেকে অশুর কাকু হিসাবেও চেনেন। শুধু অসুর নয় কখনও অসুরের প্রধান সেনাপতি আবার কখনও যমরাজ, বিভিন্ন ভূমিকায় মহালায় তাকে দেখা গেছে। এরপরেই তার সুযোগ মিলেছে বেশ কিছু সিনেমা ও সিরিয়ালে নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করার।  একসময় হাজারের উপরে ছেলেমেয়েদের আঁকা সেখাতেন তিনি। খ্যাতি ও স্বাচ্ছন্দে জীবন কাটলেও বর্তমানে অবস্থা পাল্টেছে পরিস্থিতি কারনে করুণ সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে তার জীবন। কখনও ডাক পড়লে গাড়ির নম্বর প্লেট লিখে দেওয়া বা গাড়িতে কিছু আঁকার দরকার হলে তিনি যান। সেই কাজ থেকেই কিছু উপার্জন হয় তার। নেই সরকারি কোন ভাতার সুবিধা, প্রতিবার পূজো আসে মহালয়া আসে তার চোখে ভেসে ওঠে সেই সমস্ত স্মৃতি। বীরদর্প ও দাম্ভিক চরিত্রে দাপুটে অভিনেতার মনে গর্বের পাশাপাশি তখন চোখের কোনায় দেখা যায় আক্ষেপের অশ্রুজল। তিনি চান স্টুডিও পাড়া থেকে আবার তার ডাক আসুক, আবার তিনি অভিনয় করবেন আর পর্দায় ফুঁটে উঠবে সেই ছবি। অথবা, সরকার তার পাশে দাঁড়াক সেই আর্জিই জানাচ্ছেন অমল বাবু।
{ads}

news Doordarshan Mahalaya Ashur Acting West Bengal সংবাদ

Last Updated :