বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় মন্তব্যই করেন রাজ্যপাল এবং বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দুজনেরই বাংলায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই। বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে গ্রেফতারের এক্তিয়ার নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাব দেন বিকাশ। এর পরেই রাজ্যপাল এবং বিকাশকে নিশানা করেন বিশিষ্ট পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়।
{link}
নারদাকাণ্ডে ৪ অভিযুক্তকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল বিশেষ সিবিআই আদালত। সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের বিচারক বিষয়ের মূলে যাওয়ার চেষ্টা করেননি। দায়সারা রায় দিয়েছেন। এমনটাই মত আইনীজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের। সিবিআইয়ের হাইকোর্ট যাওয়ার সিদ্ধান্তকেও সমর্থন দিলেন তিনি।
{ads}
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য’র কথায়,''রাজনৈতিক নেতাদের চট করে জামিন দেওয়া ঠিক নয় বলে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। হাইকোর্টের নির্দেশে নারদাকাণ্ডে তদন্ত করছে সিবিআই। এত হালকা চালে জামিন দেওয়া যায় না! আমার বিশ্বাস হাইকোর্ট বিচার বিবেচনা করে নির্দেশ দেবে।''
{link}
এদিন সাতসকালে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁদের সঙ্গে এদিনই গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তার পরেই তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। তৃণমূলের দাবি, সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন বিধায়ককে। শোভন ছাড়া বাকি তিনজনই বিধায়ক। তৃণমূলের যুক্তি, কোনও বিধায়ককে গ্রেফতার করতে হলে অধ্যক্ষের অনুমতি প্রয়োজন। অথচ এদিন যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের জন্য অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়নি। অনুমতি নেওয়া হয়েছে রাজ্যপালের। যে এক্তিয়ার তাঁর নেই।
{link}
বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করতে হবে বলে মনে করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর অভিমত, ''অনেককে গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রেফতার না করলে প্রহসন হবে। নিম্ন আদালতে জামিন দিলে হাইকোর্টে যাওয়ার অধিকার সবার আছে। এই তদন্তকে রুখতে চেয়েছিলেন অভিযুক্তরা। রাজনৈতিক নেতাদের অজানা মানুষের থেকে টাকা নেওয়া অপরাধ নয় বলে ব্যাখ্যা দিয়েছিল সরকার। সেখানেই প্রহসন হয়েছে।''
{ads}