শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : ভুতুড়ে ভোটার নিয়ে উত্তাল সংসদ থেকে বাংলার যে কোনো গ্রাম পর্যন্ত। মমতার মূল অভিযোগ ছিল বিহার, ইউপি(হিন্দু ভোটার)থেকে ভুতুড়ে ভোটার আসছে। তাই তাঁর এতো প্রতিবাদ। এদিকে ময়দানে নেমে বিজেপির দাবি বাংলাদেশ (মুসলিম ভোটার) থেকে ভুতুড়ে ভোটার আনা হয়েছে। এখনো তো কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসছে। কেউ পাঁচ বছর আগে মারা গিয়েছেন, কারও আবার মৃত্যু হয়েছে দশ বছর আগে। রেশন কার্ডও ইতিমধ্যেই বাতিল হয়ে গিয়েছে নিয়ম মেনে।
{link}
বাতিল হয়েছে অন্যান্য নথিও। কিন্তু ভোটার তালিকায় দিব্যি বেঁচে রয়েছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ভোটার তালিকা হাতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভুয়ো ভোটার ধরতে বেরিয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতারা। কাজ চলছিল বাঁকুড়া (Bankura) ২ নম্বর ব্লকের লাদনা ও কেন্দবনি গ্রামেও। সেখানেই এমন ২৫ থেকে ৩০ জন ভূতুড়ে ভোটারের সন্ধান মিলেছে বলে যাচ্ছে। এতদিন তাহলে তাঁদের হয়ে ভোট দিচ্ছিলেন কারা? সেই প্রশ্নের উত্তর আমরা সবাই জানি। প্রশ্ন উঠেছে এতে আখেরে কোনো একটি দলেরই বেশি ক্ষতি হবে। বাঁকুড়ার ২ নম্বর ব্লকের মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি দুটি গ্রাম লাদনা ও কেন্দবনি। দু’টি গ্রামের ভোটারদের ভোটদানের জন্য রয়েছে পৃথক বুথ।
{link}
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একদিন আগে ওই দুটি বুথে ভোটার লিস্ট হাতে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে তালিকা খতিয়ে দেখতে বের হন তৃনমূলের ব্লক ও স্থানীয় নেতৃত্ব। এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাঁরা দেখেন ওই দুই গ্রামের ভোটার তালিকায় এমন ২৫ থেকে ৩০ জন গ্রামবাসীর নাম রয়েছে যাদের সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কারও মৃত্যু হয়েছে ৫ বছর আগে, কারও আবার মৃত্যু হয়েছে ১০ বছর আগে। তবুও তাদের ভোট এতদিন ধরে দিব্যি দেওয়া হচ্ছিল। এবার বাদ পড়তে চলেছে।
{ads}