নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত এক নার্সকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ছাতনা এলাকায়। অভিযুক্ত ব্যাক্তির নাম শ্যামল রায়। নার্সের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানা যায়।
{link}
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে স্থানীয় শালচুড়া গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল রায় রক্ত পরীক্ষা করানোর নামে হাসপাতালে আসেন। অভিযোগ, ঐ নার্সকে একা পেয়ে তিনি দরজা বন্ধ করে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তবে নার্সের চিৎকারে অন্যান্য সহকর্মীরা এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পরে নার্সের তরফে ছাতনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। অন্যদিকে, বাঁকুড়ার খাতড়া থানা এলাকার বৈদ্যনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়িতে একা পেয়ে নাবালিকা এক স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠলো পাড়াতুতো এক দাদুর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার তাকে খাতড়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
{link}
নিগৃহিতার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৬ জুন দুপুরে একাদশ শ্রেণীর ঐ ছাত্রী বাড়িতে একাই ছিল। সেই সময় পাড়াতুতো ওই দাদু নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেন। পরে ঐ ছাত্রীর চিৎকারে তিনি পালিয়ে যান। বর্তমানে ঐ ছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। মাত্র একদিনের তফাতে পরপর দুটি শ্লীলতাহানির ঘটনায় রীতিমত উত্তপ্ত বাঁকুড়া।
{ads}
