নিজস্ব সংবাদদাতা, নদীয়া: পরিবারের সকলের চোখের সামনে খুন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপ মেরে নৃশংসভাবে খুন করা হলো এক ব্যক্তিকে। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম ছেলে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার ধুবুলিয়া থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃত ওই ব্যক্তির নাম অশোক ডোম, বয়স আনুমানিক ৫২ বছর।
{link}
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অশোক ডোম তার পরিবারের সঙ্গে ধুবুলিয়া যক্ষা হাসপাতালের আবাসনে থাকতেন। বর্তমানে তিনি বেথুয়া ডহরি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। সোমবার রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে তিনি মদ্যপান করে বাড়ি ফেরেন। বাড়িতে এসে পারিবারিক সমস্যার জেরে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বচসা এবং কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ওই আবাসনের পাশেই থাকতেন দেবাশীষ সেন নামে এক ব্যক্তি। অশোক ডোম যখন পরিবারের সঙ্গে চিৎকার চেঁচামিচি করছিলেন তখন দেবাশীষ সেন বারংবার তাঁদের চিৎকার করতে মানা করেছিলেন। কিন্তু কথা না শোনায় আচমকা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তিনি অশোক ডোমকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন বলে অভিযোগ। নিজের বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয় অশোক ডোমের ছেলে। রক্তাক্ত অবস্থায় বাবা এবং ছেলেকে প্রাথমিকভাবে বেথুয়া ডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর অশোক ডোমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
{link}
এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁর ছেলেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন পরিবারের সদস্যরা। আপাতত সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত দেবাশীষ সেনকে এলাকাবাসীরা বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ধুবুলিয়া থানার পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে যায়। আপাতত পুলিশ অভিযুক্ত কে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে এই ঘটনার পেছনে অন্য কোন পুরানো শত্রুতা জড়িত রয়েছে কিনা।
{ads}