নিজস্ব সংবাদদাতা, কোচবিহার: কখনো ট্রেনে আবার কখনো বিমানে চড়ে যেত বিভিন্ন মেট্রো শহর গুলিতে। সেখানে গিয়ে ফাইভ স্টার হোটেলে থেকে সেখানকার বড় বড় রেল স্টেশন এলাকাগুলিতেই জাল টিকিটের কারবার ফেঁদেছিল কোচবিহার দিনহাটার এক যুবক। মঙ্গলবার শালিমার স্টেশনে এরকমই একটি জাল টিকিট সরবরাহ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ওই যুবক। জানা যায়, ধৃত ওই যুবকের নাম সুনীল বর্মন (২৭)।
{link}
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শালিমার স্টেশনেএন্টি ফ্রড টিমের চিফ কমার্সিয়াল টিকিট ইন্সপেক্টর রোনাল্ড ব্রেগস এর হাতে ধরা পড়ে ওই যুবক। পরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে তাকে জি আর পি র হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশের জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছেন, এর আগেও এই কেসের জন্য বেঙ্গালুরুতে ধরা পড়ে জেল খেটেছিল সে। এরপর সেখান থেকে তিনি চলে আসেন হাওড়া স্টেশনে। হাওড়া স্টেশনের কাছে দূরপাল্লার জাল টিকিট সরবরাহ করতে গিয়েই হাওড়ার জিআরপি তাকে ধরে ফেলেন। তার অভিযোগ জিআরপি তার কাছ থেকে টাকা চেয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় তিন দিন আটকে রেখে তারপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও জিআরপির পক্ষ থেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সুনীল বর্মন জানান, রেলের কাউন্টার থেকে যখন বলে দেওয়া হয় টিকিট নেই তখনই তিনি সেই সব ট্রেনের কনফার্ম ই-টিকিট বিক্রি করতেন। প্লেনের টিকিটও তিনি এভাবেই বিক্রি করতেন বলে জানিয়েছেন। তার জন্য তার কাছে দু তিনটে মোবাইল ফোন ছিল বলে জানা যায়। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে শালিমার স্টেশনের এক যাত্রীকে কাউন্টার থেকে বলে দেওয়া হয় যে কোনো টিকিট নেই। তখন তিনি তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে সেই ট্রেনেরই অরিজিনাল এর মত দেখতে একটি ই-টিকিট বিক্রি করেন। এরপর ওই রেলযাত্রী টিকিট কাউন্টারে এসে চেঁচামেচি করেন যে, কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না অথচ বাইরে থেকে অনলাইনে সেই ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
{link}
যাত্রীর কথা শুনে প্রথমে অবাক হয় রেল কর্মীরা। তারপর সেই যাত্রীর মাধ্যমেই সুনীলকে পাকড়াও করেন শালিমার স্টেশনের কর্তব্যরত টিকিট পরিক্ষক পুর্নেন্দু সিং। তিনি খবর দেন এন্টি ফ্রড টিমের চিফ কমার্সিয়াল টিকিট ইন্সপেক্টর রোনাল্ড ব্রেগস কে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তার কাছ থেকে দু- তিনটে মোবাইল ফোন এবং কিছু জাল টিকিট উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গেছে। আপাতত সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
{ads}