নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দুপুর বেলায় নাতনিকে ঘরে রেখে বাড়ির সামনের পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফিরেই দেখেন মর্মান্তিক দৃশ্য। ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে তাঁর নাতনি। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের নারায়ণপুর এলাকায়। মৃত নাবালিকার নাম দীপা সরকার(১৬)।
{link}
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীপা নামখানা নারায়ণ বিদ্যা মন্দিরের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। ছোট থেকেই মায়ের সঙ্গে নারায়ণপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বড় হয়েছে দীপা। পরিবার সূত্রে জানা যায়, অনেক ছোট অবস্থায় দীপা এবং তাঁর মাকে পরিত্যাগ করে চলে যায় দীপার বাবা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার দুপুরে ওই নাবালিকার দিদা বাড়ির সামনের পুকুর থেকে স্নান সেরে বাড়িতে এসে দেখেন ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে তাঁর নাতনি। এই দৃশ্য দেখেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা চিৎকার শুনে ছুটে আসেন এবং তৎক্ষনাত তাঁকে উদ্ধার করে গ্রামের এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কাকদ্বীপ হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
{link}
স্বভাবতই নাবালিকার মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। তবে পরিবারের কাছ থেকে আত্মহত্যার সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যার পিছনে প্রেমঘটিত কোন বিষয় রয়েছে কিনা সে বিষয়ে পরিবারের লোকজন জানার চেষ্টা করছেন। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
{ads}