নিজস্ব সংবাদদাতা, নদীয়া: ভুলবশত ফোন চলে গিয়েছিল একটি নাম্বারে। যার কারণে প্রাণ গেল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার নবদ্বীপের চর স্বরুপগঞ্জ এলাকায়। মৃত ওই যুবকের নাম অমিত দেবনাথ। সামান্য রং নাম্বারে ফোন যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তীব্র উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনার পর অপমানেই আত্মহত্যা করেন ওই যুবক। তবে সামান্য কারণে কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন?
{link}
এই ঘটনার সূত্রপাত হয় শনিবার সন্ধ্যায়। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নদীয়ার চর স্বরূপগঞ্জের সুকান্ত পল্লী এলাকার বাসিন্দা অমিত দেবনাথের মোবাইল থেকে ভুলবশত একটি নাম্বারে ফোন চলে যায়। তারপরেই শুরু হয় উত্তেজনা। অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল নেতা সঞ্জীব সমাদ্দার ওরফে কালু ওই যুবককে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে। সেখানেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানা যায়। এরপর রবিবার সকালে আবারও তাঁকে পার্টি অফিসের সামনে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই অপমানেই তিনি রিবিবার দুপুরে নিজের ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এরপর তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁকে স্থানীয় মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনার পরেই মৃতের পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা থানায় অভিযোগ করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, থানায় জানানোর পরেও পুলিশের ঘটনাস্থলে যেতে আড়াই ঘন্টা দেরি হয়।
{link}
অন্যদিকে অভিযুক্ত সঞ্জীব সমাদ্দারের বাড়িতে ক্ষিপ্ত জনতা ভাঙচুর চালায় বলে জানা যায়। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি তৃণমূল নেতা। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল নেতা সঞ্জীব সমাদ্দার ও তার দলবল নিয়ে এই এলাকায় দুষ্কৃতীরাজ চালাত । ভয়ে এলাকাবাসীরা কাউকে কিছু বলত না। মাথায় তৃণমূলের নেতাদের হাত থাকায় সঞ্জীবের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পেত বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আপাতত পুরো ঘটনাটি তদন্ত করছে পুলিশ।
{ads}