সুদেষ্ণা মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে ধুন্ধুমার ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ ওঠে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। রোগীর পরিবারের সাথে আক্রান্ত হয় কর্তব্যরত চিকিৎসকও। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে।
{link}
পরিবার সূত্রের খবর, রবিবার ভোর ৩ টের সময় ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের নুরপুরের বাসিন্দা নেহা পারভিন (৯) কে শ্বাসকষ্টজনিত অসুবিধার জন্য ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে তার পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে রবিবার বিকেলে নেহা মারা যায়। এরপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তার পরিবারের লোকজনেরা। পরিবারের লোকজনের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীর মৃত্যুর পর কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালায় পরিবারের লোক জনেরা। পরিবারের লোকজনের হাতে গুরুতর জখম হয় ডা: অমিত পল ও ডা: আর্সেনাল রাজা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশকে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ কর্তব্যরত চিকিৎসক দের মারধরের অভিযোগে ৮ জনকে আটক করে। ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার সুপ্রিম সাহা জানান, ভোররাতে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে নেহা পারভিন নামে বছর ৯ এর একটি মেয়েকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজনেরা। কর্তব্যরত চিকিৎসক যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যান। ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রোগীকে স্থানান্তরিত করার চিন্তাভাবনা নেওয়া হয়।
{link}
স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইডলাইন অনুযায়ী সমস্ত কাগজপত্র তৈরি করাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেই হঠাৎ মারা যায়। এরপর, পরিবারের লোক জনেরা কর্তব্যরত চিকিৎসক দের ওপর চড়াও হয় ও মারধর করেন। হাসপাতাল চত্ত্বর উত্তপ্ত হওয়ার পরেই খবর দেওয়া হয় ডায়মন্ডহারবার থানাতে। ঘটনাস্থলে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়েও যায় পুলিশ। সকল মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক দের মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেনহাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দোষীদের শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপার।
{ads}