নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি ও তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারের পর শক্তিশালী হচ্ছে সিপিএম। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কার্যত শক্তি বৃদ্ধি করছে বিরোধী দল সিপিএম। ২০০৭ সালের তৎকালীন সময়ের একাধিক সিপিএম কর্মীরা সিপিএম দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু এবার রাজ্য সরকারের একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। আর যার ফলে পূর্ব মেদিনীপুরে কার্যত সিপিএমে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। এগরায় বালিসাইতে সিপিএমের একটি সভায় তৃণমূল ছেড়ে কয়েক শতাধিক কর্মী সমর্থকরা সিপিএমে যোগদান করেন।
{link}
ওই সভায় নবাগত কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সিপিএমের সম্পাদক মণ্ডলী সদস্য কৃষ্ণপদ মাইতি ও সিপিএম এরিয়া কমিটির সদস্য সুদীপ্তা মাইতি। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে একের পর এক সিপিএমের যোগদানকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে পড়েছে ব্যাপক শোরগোল। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এগরায় বালিসাইতে সিপিএমের পক্ষ থেকে একটি সভা আয়োজন করা হয়।সেখানেই এগরায় বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত, বাথুয়াড়ী, দক্ষিণ বাড় ও বিধুগ্রামের প্রায় ৪০ টি পরিবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে সিপিএমে যোগদান করেন। এগরা সিপিএম এরিয়া কমিটির সদস্য মির্জা নাসের হোসেন বেগ বলেন " একের পর এক শাসকদলের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে সিপিএমে যোগদান করার হিড়িক পড়েছে। এদিন সভায় শতাধিকেরও বেশি তৃণমূল কর্মী সমর্থক এবার সিপিএমে যোগ দান করেন। তৃণমূলের দুর্নীতি গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। শুধু তাই নয় এগরা বিধানসভার বিস্তীর্ণ এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থক নেতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আগামী দিনে যোগদানের মেলা হবে "। একটু হুঁশিয়ারি সুরে তিনি বলেন, “এবার ১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতন হবে না। ২৩ শে পঞ্চায়েত মানুষকে দিশা দেখাবে "।
{link}
যদিও এই যোগদান গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এলাকার তৃণমূল নেতা বলেন " সিপিএমের কোন অস্তিত্ব নেই। গত বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ দেখেছেন। এইসব করে প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা করছে সিপিএম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে এলাকার মানুষ রয়েছেন "। প্রসঙ্গত সাম্প্রতিক কয়েকদিন আগে লালদুর্গ হিসেবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি ও নন্দীগ্রামে ঘরছাড়া একাধিক সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা লাল পতাকা নিয়ে নিজেদের ধান জমিতে জমি চাষ করেছেন। রাজ্যে ২০১১ সালের পালাবদলে পর কার্যত নন্দীগ্রাম খেজুরি থেকে সিপিএম অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। গত বিধানসভা নির্বাচনে খেজুরি ও নন্দীগ্রাম এই দুটি আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়লাভ করে। এদিকে নন্দীগ্রাম একটি স্কুলভোটে সিপিএম মনোনীত প্রার্থী নমিনেশন করেন। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে একে একে প্রার্থীদের দল বদল কি এবার তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে বিরোধী দল সিপিএম? সব উত্তর আসন্ন ভোটের ফলাফলে।
{ads}