header banner

ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ, কেষ্টর অনুপস্থিতিতে উত্তাল বোলপুর

article banner

নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূম: বীরভূমের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল আপাতত জেলে। আর সেই ফাঁকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তাল বোলপুরের লোহাগড় গ্রাম। অভিযোগ জানাতে দুই পক্ষই হাজির শান্তিনিকেতন থানায়। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ রাজ্যজুড়ে প্রায় সমস্ত জেলায়। তবে বীরভূমের গোষ্ঠীদ্বন্দ নিয়ে আপাতত মুখে কুলুপ শাসক দলের। 

{link}

একদা অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বোলপুর-শ্রীনিকেতন পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি কাজি নুরুল হুদা। তবে পরে দূরত্ব বাড়ে জেলা সভাপতির সাথে। বেশ কিছুদিন আগে তিনি অভিযোগ করেন, অনুব্রত মন্ডলের কথা না শোনায় তাঁকে গাঁজা মামলায় ফাঁসিয়ে দেন তিনি। অনুব্রতর জন্য তিনি সভাপতিত্বের পদও ছেড়ে দেন। যার ফলে তাঁকে জেলেও যেতে হয়৷ এই নেতার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব রয়েছে বোলপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বামী বাবু দাসের। জানা যায়, গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল জেলে যেতেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।তৃণমূল নেতা কাজি নুরুল হুদাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে কার্যত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো লোহাগড় গ্রাম।

{link}
 
এ বিষয়ে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী বলেন, রবিবার রাতে হঠাৎ করেই দুই দলের মধ্যে দ্বন্দ বাঁধে। এরপর নুরুল হুদা সহ বাকি কর্মীরা ঝামেলা থামাতে গেলে তাদের উপরে চড়াও হয় তৃণমূলের অন্য দল। জহির নামে এক তৃণমূল কর্মী এবং তাঁর পরিবার নুরুল হুদাকে ওই কর্মীরা বেধড়ক মারধর করেন বলেও অভিযোগ। তবে কী কারনে তাঁকে মারধর করা হল সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। আপাতত দুপক্ষই পুলিশের দারস্থ। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে পুলিশ। রাজ্যের একাংশের রাজনীতিবদদের মতে, এতোদিন জেলায় এক দাপুটে অভিভাবকের অধীনে ছিল বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বর্তমানে সেই অভিভাবক রয়েছেন জেলের ভিতর। ফলস্বরূপ এতোদিন যে সমস্ত ক্ষোভ চাপা হয়ে ছিল, মাথার উপর অভিভাবক কের অনুপস্থিতিতেই সেই সমস্ত কিছু এখন ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসতে শুরু হচ্ছে। যার ফলে বেরিয়ে পড়ছে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কঙ্কালসার মুখ। 

 {ads}

News Santiniketan police station Birbhum West Bengal India গোষ্ঠীদ্বন্দ বীরভূম সংবাদ

Last Updated :

Related Article

Care and Cure 1
Care and Cure 1

Latest Article