নিজস্ব সংবাদদাতা,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে উপপ্রধানের খুন এবং তার পরবর্তী সময়ে অগ্নিসংযোগের কারনে একাধিক ব্যাক্তির মৃত্যুর ঘটনা। তার রেষ কাটতে না কাটতেই রাজ্যে ফের বোমা বিস্ফোরণ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে বোমা ফেটে আগুনে ভস্মীভূত একটি বাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ এলাকার সর্দারপাড়ায়। বিস্ফোরণের পর আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা বাড়ি। ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে যায় বাসন্তী থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর নেই।
{link}
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,বাসন্তীর সর্দারপাড়ার এই বাড়ি থেকে মজুত হওয়া বোমা উদ্ধার করা যায়নি। গতকাল রাতেও ওই বাড়ির বাসিন্দারা বোমা বাঁধার কাজ করছিলেন। তার জেরেই এই বিস্ফোরণ। সূত্রের খবর,এদিন ভোরের দিকে বাড়িটিতে আগুন লাগে। ভিতর থেকে ৫,৬ বার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আশপাশের মানুষজন। অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা বালতি করে জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়। তবে তাতেও রক্ষা মেলেনি। মাটির বাড়িটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলাকালীনই বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির মালিককে আটক করা হয়েছে। তবে এত বড় বিস্ফোরণের পর এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। পুলিশের অনুমান, আগাম বিপদের পূর্বাভাস পেয়েই বাড়ি থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন বাসিন্দারা। তাই বিস্ফোরণের পরও প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল সে বিষয়ে বাড়ির মালিককে জেরা করে তা জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা।
{link}
রামপুরহাটের উপপ্রধানের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যজুড়ে পুলিশকে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হয়েছে বহু দুষ্কৃতীও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা থেকেও উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। তা সত্ত্বেও ফের বিস্ফোরণের জেরে আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। তবে এখন প্রশ্ন হল,প্রশাসনের চিরুনি তল্লাশির পরেও কিভাবে হচ্ছে এই সমস্ত দুর্ঘটনা? কারা রয়েছে এর পিছনে? নাকা তল্লাশি করে আদৌ কি কোন লাভ হচ্ছে?
{ads}