২৪ ঘন্টা ধরে পড়েছিল করোনা রোগীর মৃতদেহ। পুরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দেহ সৎকারে গড়িমসির অভিযোগ মৃতের পরিবারের। মৃতের পরিবারের দাবি, শ্বাসকষ্টের জন্যই মৃত্যু হয় বৃদ্ধের। তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়নি। তাঁর ছেলে করোনায় সংক্রমিত বলে প্রতিবেশীরা কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। সারা রাত বৃদ্ধের দেহ আগলে বসে রইলেন স্ত্রী। যার জেরে রাতভর উঠোনেই পড়ে রইল বৃদ্ধের দেহ।
{link}
খবর পেয়ে আজ, বৃহস্পতিবার সকালে দেহ উদ্ধার করেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ঘটনায় চাঞ্চল্য। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধূপগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন সত্তরোর্ধ্ব পঞ্চানন ঘোষ। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন। বুধবার রাতে আচমকাই প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ওই বৃদ্ধের। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। হাড়হিম করা আতঙ্কের মধ্যেই একটা গোটা রাত কাটালেন ওই বৃ্দ্ধের পরিবার। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ স্থানীয় তৃণমূল ও বাম নেতারা ওই বৃদ্ধের বাড়িতে যান। পরিবারের অভিযোগ, পুরসভাকে একাধিকবার খবর দেওয়া হলেও, কেউ আসেননি। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ দেহ উদ্ধার করে সৎকারের জন্য নিয়ে যায় ধূপগুড়ি পুরসভার শববাহী গাড়ি।
{link}
পুরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি, সময় মতো জানানোই হয়নি। ধূপগুড়ি পুরসভার সহ সভাপতি, রাজেশ সিংহ বলেন, এদিন সকাল ৮টা নাগাদ পরিবারের তরফে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তার পরেই গাড়ি পাঠানো হয়। সময় মতো জানানোর পরেও দেহ পড়ে থাকবে, এটা সম্ভব না।
{ads}