নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূমঃ গরু পাচার মামলায় এবার সিবিআই এর নজর অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা আব্দুল কেরিম খানের সম্পত্তির ওপর। বোলপুরে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার প্রাসাদোপম বিলাশবহুল বাড়িটিও এবার নজর কেড়েছে সিবিআই অফিসারদের। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের এত সম্পত্তির উৎস কি গোরু পাচারের যোগসূত্রেই? তা জানতেই তদন্তে নেমেছে সিবিআই।
{link}
জানা যায়, নানুরের বাসাপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল কেরিম খান। বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়লাভ করে বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হন তিনি। তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই জেলায় পরিচিত ও প্রভাবশালী তিনি। তাই গরু পাচার মামলায় তদন্তে নেমে তার নাম পায় সিবিআই অফিসারেরা। জানা গিয়েছে, এই মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গাল হোসেনকে জেরা করেই উঠে এসেছে কেরিম খানের নাম। তারপরেই বুধবার সকাকে তার নানুরের বাসাপাড়ার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। প্রায় ৫ ঘন্টা তল্লাশি চালিয়ে মেলে একাধিক নথি, দলিল ও সম্পত্তির হদিশ। সেখান থেকেই উঠে আসে শান্তিনিকেতনের সুকান্তপল্লীতে আব্দুল কেরিম খানের প্রাসাদোপম বাড়ির ঠিকানা। মূল্যায়নের নিরিখে দামি মার্বেল বসানো বিশালাকার বিলাশবহুল বাড়িটি কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার এমনটাই জানাচ্ছেন সিবিআই এর কর্তারা। আপাতত এই বাড়িটি এখন সিবিআই অফিসারদের নজরে রয়েছে। ইতিমধ্যেই বাড়িটি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই, এমনটাই সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
{link}
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে তার। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত হিসাবে তার নাম কলকাতা হাইকোর্টে জমাও দিয়েছে। যে মামলারও তদন্ত ভার রয়েছে সিবিআইয়ের হাতেই। আপাতত এই মামলায় জামিয়ে রয়েছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ আব্দুল কেরিম খান। জেলা পরিষদের একজন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের এত সম্পত্তির উৎস কি? এত কোটি টাকার বিলাশ বহুল বাড়ি কিভাবে বানাতে পারেন তিনি? গোরু পাচারের টাকাতেই কি বেড়ে চলেছে তার সম্পত্তির পরিমাণ? এই সবের উত্তর খুঁজতেই তদন্তে সিবিআই অফিসারেরা।
{ads}