নিজস্ব সংবাদদাতা,নদীয়াঃ বিয়ের পরের দিন থেকেই শ্বশুরবাড়িতে পণের টাকার জন্য চাপ, টাকা দিতে না পারলেই গৃহবধূর উপর চলত বেধড়ক মারধর। তার উপর গতকাল নতুন করে অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় স্বামী ও শাশুড়ি। লোহার রড দিয়ে তারা গৃহবধূকে মেরে অজ্ঞান করে দেয় বলে অভিযোগ। শশুর বাড়ি থেকে কোনরকমে প্রাণে বেঁচে এসে শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হন গৃহবধূ অর্পিতা সরকার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি শান্তিপুর থানার বোয়ালিয়া এলাকার।
{link}
আক্রান্ত গৃহবধূর অভিযোগ, গত দু'বছর আগে তার বিবাহ হয় শান্তিপুর বোয়ালিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা অনজিৎ বিশ্বাস এর সাথে। বিয়ের পর থেকেই দিনের পর দিন অর্পিতার ওপর শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্মম অত্যাচার চালিয়ে যেত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এর আগেও বেশ কয়েকবার তাকে মারধর করে তার বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পারিবারিক মধ্যস্থতায় আবার শ্বশুরবাড়ী ফিরে যান অর্পিতা সরকার। কিন্তু গতকাল রাতে পণের টাকা এবং মোটর সাইকেল সহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে গৃহবধূর ওপর চড়াও হয় তার শাশুড়ি এবং স্বামী। লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওই গৃহবধূর। অত্যাচারের ফলে সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে থাকেন গৃহবধূ। ভোরবেলা জ্ঞান ফেরার পর শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হন তিনি ও তার বাপের বাড়ির সদস্যরা। আক্রান্ত অর্পিতা সরকার শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে।
{link}
গৃহবধূ জানান,তিনি আর সংসার করতে চান না ওই পরিবারের সঙ্গে। দিনের পর দিন তাকে যেভাবে মারধর করা হচ্ছে পরবর্তীতে তার প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে ।দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন অর্পিতা। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। এখন তদন্তের পর কি তথ্য উঠে আসে এবং দোষীরা আদৌ শাস্তি পাবে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে অর্পিতা ও তার পরিবার।
{ads}