সুদেষ্ণা মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন জেলায় শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ চোখে পড়ছিল। তবে এবার গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল বিরোধী দল বিজেপিরও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে বৈঠক চলাকালীন দুই গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চলল হাতাহাতি মারধর। যার ফলে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে কুলপি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
{link}
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচি নিয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির পক্ষ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি বিজেপির জেলা কার্যালয়ে একটি বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই বৈঠক চলাকালীন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা একে অপরকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুঁড়তে থাকে। এর পরেই পরিস্থিতি মুহূর্তের মধ্যে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। মারধরের ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় কুলপি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই মারধরের ঘটনায় আহত হয়েছে কুলপির বিজেপি নেতা রাজ্য কমিটির সদস্য কৃত্তিবাস সর্দার। এই বিষয়ে তিনি বলেন, নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৈঠক শুরু হয়েছিল। তারপরেই মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্য ও তার দলবল তাঁর উপর চড়া হয় এবং তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন। কেন তাঁকে মারধর করা হল? কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, তিনি শুধু বলেছেন, কেন্দ্রের পাঠানোর টাকা মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার জন্য। সেই টাকা কোন খাতে ব্যয় হচ্ছে এই প্রশ্ন করার পরেই মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্য ও তার দলবল তাঁর উপর চড়া হয়। এছাড়াও মারধর করে তাঁর জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
{link}
যদিও সমস্ত ঘটনার কথা স্বীকার করে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্য বলেন, "আগামী যে কর্মসূচি রয়েছে সেই কর্মসূচি নিয়ে আমরা আজকের বৈঠকের ডাক দিয়েছিলাম। আমি নির্ধারিত সময় মেনেই বৈঠকে পৌঁছাই। সেই সময় আমি দেখি তৃণমূল আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতী পার্টি অফিস ঘিরে রয়েছে। আমি তাদেরকে চলে যাওয়ার কথা বললে কৃত্তিবাস সরদার তার দলবল নিয়ে বৈঠক বানচাল করতে উদ্যোগ হয়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে আমরা বৈঠক বন্ধ করে দিয়েছি। এই বৈঠক আগামী ৯ই সেপ্টেম্বর কুলপি রামকৃষ্ণপুর জেলা কার্যালয়ে পুনরায় অনুষ্ঠিত হবে।"
{ads}