header banner

অভাবের সংসার, সন্তানের চিকিৎসা করতে পারছেন না বৃদ্ধ দম্পতি

article banner

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ বছর তিরিশের এক যুবক। পরনে নোংরা কাপড়। বাড়ির মধ্যে হাতে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দীর্ঘ দু' বছর ধরে বাড়িতে দু'পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছেন খাতড়ার ধারগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা বছর তিরিশের মিঠুন দুলে। চরম অমানবিকতার স্বাক্ষী থাকল বাঁকুড়ার খাতড়া। কিন্তু কেন তাকে এইভাবে বেঁধে রাখা হয়েছে?

{link} 

জানা যায়, বছর দশেক আগেও মিঠুনের জীবনটা এমন ছিল না। এলাকায় যথেষ্ট ভালো ও পরোপকারী হিসেবে পরিচিত ছিল সে। অভাবের সংসারে বেশী দূর পড়াশোনাও করতে পারেনি। ফলে জীবন জীবিকার স্বার্থে তাকে পাড়ি দিতে হয়েছিল দিল্লীতে। সেখানে এক ঠিকাদারী সংস্থায় কাজও জুটিয়ে নেয় মিঠুন। কিন্তু দিল্লীতে থাকাকালীন জ্বরের প্রকোপে জীবনটা এলোমেলো হয়ে যায় তার। বৃদ্ধ বাবা, মা ধার দেনা করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন ছেলেকে। প্রথম দিকে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করা হলেও অর্থাভাবে এখন তাও বন্ধ। তাই এখন অসুস্থ ছেলেকে বাড়িতে লোহার চেন পরিয়ে কাজে যান বৃদ্ধ বাবা মা। মিঠুন দুলের বৃদ্ধ বাবা জানকী দুলে ও মা ভারতী দুলে বলেন, তাদের নিজস্ব জমি জায়গা নেই। অন্যের সামান্য জমি ভাগে চাষ করেই সংসার চালান তারা। নিজেরা দু'জন আর অসুস্থ ছেলের দু'বেলা খাবার জোটাতেই যেখানে হিমসিম খেতে হয়, সেখানে চিকিৎসার কথা বিলাসিতা বলেই তারা জানিয়েছেন।

{link}

ওই এলাকার প্রতিবেশী অজিত কুমার দুলে বলেন, ঐ পরিবারটি অত্যন্ত গরীব। বাবা, মায়েরও যথেষ্ট বয়স হয়েছে। চাইলেও ছেলের চিকিৎসা করাতে পারেনা। এই অবস্থায় মিঠুনের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার আবেদন জানান তিনি। এ বিষয়ে খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনন্দমোহন মাহাত জানান, এতদিন তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেননা। তবে দ্রুত প্রশাসনের তরফে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন আনন্দবাবু। অসহায় বাবা মা এখন অসুস্থ ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে দিনগত পাপক্ষয় করছেন।

{ads}  
 

News Extreme inhumanity Mithun Dule Khatra village Dhargram Bankura West Bengal India খাতড়া বাঁকুড়া সংবাদ

Last Updated :