নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বর্ষা আসতেই দুর্ভোগের শিকার হন সুন্দরবনবাসী। যার কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ২৬৫০টি কংক্রিটের সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি দুর্বল নদীবাঁধ ও সেতুগুলোকে সংস্কারের কথাও তিনি জানিয়েছেন। সেই কাজ দ্রুত করার জন্য এবার সুন্দরবনের কংক্রিটের সেতু ও দুর্বল নদীবাঁধ পরিদর্শন করতে এলেন স্বয়ং রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উত্তর ২৪ পরগণার জেলা শাসক শরদ কুমার ত্রিবেদী, জেলা সেচ আধিকারিক রানা চ্যাটার্জি, সহ প্রশাসনিক কর্তারা।
{link}
বসিরহাটের সুন্দরবন লাগোয়া ব্লক সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, হাড়োয়া ও মিনাখাঁয় যেসব নদী রয়েছে তার মোট নদী বাঁধ ৭৫০ কিলোমিটার। তার মধ্যে মাত্র ৩০ কিলোমিটার রয়েছে কংক্রিটের বাঁধ। বাকিটার কাজ এখনও চলছে। শনিবার সেচ মন্ত্রী, বন মন্ত্রী ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা সন্দেশখালীর ছোট কলাগাছি নদী বাঁধ, বিদ্যাধরী, রায়মঙ্গল, কালিন্দী, গৌড়েশ্বর হাতা খালি নদীর ওপর দুর্বল সেতু সহ বিভিন্ন নদীর ঘাটে যে দুর্বল জেটিঘাট গুলো রয়েছে সেগুলো পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি এগুলি দ্রুত বাস্তবায়িত করতে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করেন। সন্দেশখালীর এক ও দু নম্বর ব্লকের বেড়মজুর, কানমারী, ধামাখালি, কালিনগর ও ন্যাজাট শহর সহ একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় নদীবাঁধ পরিদর্শন করেন তাঁরা। বিশেষ করে যে সমস্ত এলাকায় বাঁধ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে সেখানে নেমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে তাঁদের অভাব অভিযোগগুলি শোনেন। এ বিষয়ে সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানান, ইতিমধ্যেই বাঁধ গুলি মেরামতির কাজ পুরোদমে শুরু করার জন্য রিভার রিসার্চ টিম তৈরি করা হয়েছে। যারা মূলত সুন্দরবনের নদী পার্শ্ববর্তী বাঁধ গুলিতে এসে পর্যবেক্ষণ করেন।
{link}
অন্যদিকে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, বাঁধকে রক্ষা করতে ইতিমধ্যে ১৫ কোটি ৩০ লক্ষ ম্যানগ্রোভ অর্থাৎ গরান, গেঁওয়া ও কেওড়ার মত গাছগুলি পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও বসিরহাটের নদীমাতৃক এলাকায় বসানো হয়েছে। পাশাপাশি ম্যানগ্রোভকে রক্ষা করতে জাপানি প্রযুক্তিতে মালয়েশিয়ার বাটি ঘাস রোপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। পার্থ ভৌমিক আরো জানান, চলতি মাসের ৩০ তারিখ তিনি হাসনাবাদ হিমালগঞ্জ সহ প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকায় নদী বাঁধ পরিদর্শন করতে পুনরায় আসবেন।
{ads}