header banner

অর্থের অভাবে শিকল বন্দী হয়ে জীবন কাটাচ্ছেন সাগরের মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক

article banner

সুদেষ্ণা মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ বাড়ির মধ্যেই ছেলেকে নির্মম ভাবে হাতে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন বাবা-মা। তাই চিকিৎসার অভাবে শিকল বন্দী হয়ে জীবন কাটাচ্ছেন সাগরের মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক। চরম আর্থিক অনটনে পরিবার। অর্থের অভাবে যুবকের চিকিৎসা করাতে পারছেননা তার পরিবারের সদস্যরা। তাই কার্যত বাধ্য হয়েই শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয় ওই যুবককে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর বিধানসভার অন্তর্গত মুড়িগঙ্গা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশতলা গ্রামের।

{link} 

ওই গ্রামের বাসিন্দা তপন বেরার মেজ ছেলে রবীন্দ্রনাথ বেরা (২১)। তপন বাবু দিনমজুরের কাজ করেন। কোনরকম টেনেটুনে সংসার চালান তিনি। ছোটবেলা থেকেই অভাবের সঙ্গে বেড়ে ওঠা। সেই জন্য পড়াশোনাও বেশি দূর করা সম্ভব হয়নি রবীন্দ্রনাথের। পরিবারের হাল ফেরাতে খুব কম বয়সে কাজের জন্য ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিল রবীন্দ্রনাথ। তার উপার্জনে ধীরে ধীরে স্বচ্ছল হয় বেরা পরিবার। এরপর দেশে হানা দেয় করোনা মহামারী। মহামারীর জেরে কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন রবীন্দ্রনাথ। ধীরে ধীরে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন তিনি। এরপর কিছুদিনের মধ্যে তিনি অসুস্থ হতে শুরু করেন। দিনমজুর পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য ছিলনা ঠিকঠাক চিকিৎসা করানোর জন্য। এরপর সুস্থ স্বাভাবিক ছেলে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। পরিবারের লোকজনের চোখের আড়ালে যদি কোথাও চলে যায় সেই ভয়ে বাধ্য হয়েই বাবা মা বাড়িতে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন ছেলেকে। তপন বাবু জানান, দরিদ্র পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেননা। তার উপর প্রতিবেশীদেরও মাঝে মাঝে উত্তপ্ত করছে। কোথায় কখন বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে পারে তাই কার্যত বাধ্য হয়েই বেঁধে রাখতে হয়েছে তাকে।

{link}

তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, সরকারি সাহায্য পেলে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে তার ছেলে। সাগরের ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সুদীপ্ত মণ্ডল জানান, বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরিবারের লোকজন স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বি ডি ও অফিসে যোগাযোগ করেনি। সংবাদ মাধ্যমের লোকজনের মাধ্যমে বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি। খুব দ্রুত ওই যুবকের সরকারি সাহায্যের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হবে। অসহায় পরিবার এখন ছেলের সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন।

{ads} 
 

News Lack of money Mentally unbalanced Kashtala village Muriganga gram panchayat Sagar South 24 pargana West Bengal India দক্ষিণ ২৪ পরগনা সংবাদ

Last Updated :