নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনাঃ এক বৃদ্ধাকে খুন করে তার সমস্ত সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ উঠলো তার বাড়ির ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গা থানার অন্তর্গত রামকৃষ্ণ পাঠাগার এলাকায়। জানা গিয়েছে বৃদ্ধা মহিলার নাম মায়া রানী নন্দী ( ৮৫ )।
{link}
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধার পাঁচ ছেলে তিন মেয়ে। তবে ওই বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। পাঁচ ছেলে পাশের এলাকায় আলাদা আলাদা বাড়িতে থাকেন। বৃদ্ধাকে দেখাশুনার দায়িত্বে ছিলেন নিজেদের বাড়ির এক ভাড়াটিয়া মহিলা। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে বৃদ্ধার ছোট ছেলে অজয় নন্দী মায়ের জন্য বাজার করে মাকে দেখতে আসেন। তখমই তিনি দেখেন ঘরের দরজা খোলা এবং ঘরের আলমারির দরজা খোলা। ঘরের সমস্ত জিনিস লন্ডভন্ড এবং বৃদ্ধা অর্ধনগ্ন অবস্থায় মেঝেতে পরে রয়েছেন।
{link}
তার ছোট ছেলে বলেন, তার মায়ের গলার সোনার হার এবং হাতের বালা উধাও ছিল এবং ওই ভাড়াটিয়া মহিলাও নিখোঁজ ছিলেন। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় পুলিশ। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বাড়ির ভাড়াটিয়াই ওই বৃদ্ধাকে খুন করে পালিয়েছে। আপাতত পুরো ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
{ads}