নিজস্ব সংবাদদাতা,নদীয়াঃ পুরনো রীতি মেনে আজও আতশবাজি ফাটিয়ে শেষ হয় গোপালের আরাধনা। এই আতশবাজি দেখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন। এবারে ২৫ বছরে পদার্পণ করলো ঘোষ বাড়ির আতশবাজির প্রদর্শনী অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। নদীয়ার শান্তিপুরের গোপাল পুজো উপলক্ষে অনুষ্ঠান জেলাজুড়ে খ্যাতিসম্পন্ন।
{link}
পারিবারিক এবং এলাকা সুত্রে জানা যায়, এই অঞ্চলে গোপাল পুজোকে কেন্দ্র করে ঘোষ পরিবারের আয়োজিত বাজি পোড়ানোর রেওয়াজ রয়েছে বিভাস ঘোষের পিতা স্বর্গীয় সুভাষ চন্দ্র ঘোষের আমল থেকে। এবছর এই উৎসব পঁচিশ বছরে পদার্পণ করলো বলে জানাচ্ছেন এই পরিবারের সদস্য বিভাস ঘোষ। গোপাল পুজোকে কেন্দ্র করে এত পরিমাণে বাজি ফাটানোর নজির শান্তিপুরের আর কোনো অঞ্চলে নেই এমনটাই মতামত আমজনতার । আর প্রতিবছর তা দেখতেই উপস্থিত হন বিশিষ্টজনেরা। এবছরও বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ সহ ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিক প্রামানিক এই উৎসবে সামিল হয়েছিলেন। গোপালের উৎসবকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলে ছোট একটি মেলা বসারও রেওয়াজ রয়েছে বলে বিভাস ঘোষের পরিবার সুত্রে জানা যায়, কারন এক সময় এই পুজোর মূল উদ্যোক্তা স্বর্গীয় সুভাষ চন্দ্র ঘোষ চেয়েছিলেন উৎসবকে কেন্দ্র করে কিছু গরীব মানুষের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন হোক , তারপর থেকেই এই মেলার সূত্রপাত । তবে মুলত এই বাজি পোড়ানোর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করার জন্যই সমস্ত শান্তিপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে।
{link}
সাম্প্রতিক করোনার প্রকোপে এই উৎসবে বিগত বছরে কিছুটা ভাঁটা পড়লেও এবছরের চিত্রটা যেনো সমস্ত বছরের জনসমাগমের হিসাব নিকেশ কে পাল্টে দিয়েছে। অর্থাৎ শুধু মাত্র গোপালের শোভাযাত্রা নয়, গোপালের পুজো শেষ হওয়াকে কে কেন্দ্র করে বাজি পটকা ফাটানো এক অভিনব মাত্রা যোগ করে দিল শান্তিপুর সুত্রাগর অঞ্চলের ঘোষ পরিবারে । সুতরাং একদিকে বাজি ফাটানো , অপর দিকে গোপাল পুজোর শেষ দিন। এককথায় জমজমাট , অনবদ্য ও অনন্য সাধারণ।
{ads}