header banner

শুধু সময়ের অপেক্ষা...

article banner

নিজস্ব সংবাদদাতা,নদীয়াঃ  আপনারা তো খবর করে চলে যাবেন। পরে আক্রমণ হলে চাপ সামলাবে কে? তখন পুলিশ ও আসবেনা। চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি মৃত নাবালিকার পরিবারের। সাংবাদিকদের সামনে ভয়ে কথাই বলতে চাইছেন না পরিবারের কেউ। নদীয়ার হাঁসখালি ধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূল নেতার ভয়ে চাপা আতঙ্কে রয়েছে পরিবার।

{link}

সাংবাদিক দেখলেই আতঙ্কে মুখ বুজে ঘরে ঢুকে পড়ছে। আতঙ্ক একটাই। সবাই চলে গেলে তারপর আক্রমণ হলে তখন কে সামলাবে? মৃত ওই নাবালিকার জ্যাঠা অখিল বিশ্বাসের দাবি, শাস্তি দিয়ে কি হবে? সবাই চলে গেলে আবার আক্রমণ হবে। তখন কে সামলাবে? পুলিশ ও আসবেনা সাংবাদিকরাও আসবেনা। তার থেকে ভালো মুখ বুজে বাড়িতে বসে থাকা। আর কপাল চাপড়ানো ছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই। হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে সোহেল গোয়ালী সহ তার বন্ধু প্রভাকর পোদ্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ তাদের রানাঘাট মহাকুমা আদালতে তোলা হল। তবে হাঁসখালির ধর্ষণকান্ড নিয়ে নদীয়া রানাঘাট জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাসের মন্তব্য কিছুটা অন্যরকম। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, গত ৫ তারিখে তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্যর ছেলে মূল অভিযুক্ত সোহেল গোয়ালীর বাড়িতে জন্মদিন অনুষ্ঠানে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। অভিযুক্তের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। সেই কারণেই সে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল। তারা দুজনেই ওইদিন মদ্যপ অবস্থায় ছিল। প্রশ্ন হচ্ছে ময়না তদন্ত ছাড়াই কিশোরী মদ্যপ ছিলেন একথা পুলিশ সুপার কোথা থেকে জানলেন? যিনি এই তথ্য পুলিশ সুপার কে দিলেন তার কতটা বিশ্বাস যোগ্যতা আছে? রক্তাক্ত অবস্থায় সন্ধ্যার পরে বাড়ি ফিরে আসে নির্যাতিতা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শেষ রাতে গ্রামের একটি ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ আনতে যায় পরিবারের এক সদস্য। ফিরে দেখেন নাবালিকার মৃত্যু ঘটেছে। পুলিশ সুপার আরও জানান, পরিবারের সদস্যরা গোপন জবানবন্দিতে বলেছেন নাবালিকাকে সেদিন রাতেই এলাকার কয়েকজন যুবক তড়িঘড়ি শ্মশানে দাহ করেছিল মৃত্যুর কোনরকম সার্টিফিকেট ছাড়াই। আচ্ছা এমনও তো হতে পারে দাহ করার সময় তার শরীরে প্রাণ ছিল? যেহেতু ডেথ সার্টিফিকেট ছিল না তাই উঠছে এমন প্রশ্ন।

{link} 

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে। বিজেপির মহিলা প্রতিনিধির দল মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীরও আসার কথা রয়েছে হাঁসখালি তে। এছাড়াও মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন মহিলা শিশু সুরক্ষার চেয়ার পার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। এদিন তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কোন প্রতিক্রিয়াই তিনি দিতে চান না, কারণ তিনি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি নয়। পুলিশ যেভাবে তদন্ত করছে তিনি সে ব্যাপারে সন্তুষ্ট। তবে তৃণমূলের দাবি এই ঘটনা নিয়ে অহেতুক রাজনীতির ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি।

{ads}


 

News Raped and kill TMC Chief Minister Mamata Banerjee District Police Super Sayak Das Hanskhali Nadia West Bengal India হাঁসখালি সংবাদ

Last Updated :