header banner

শতাধিক বছরের রান্না পুজোয় যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই-এর বার্তা হুগলীতে

article banner


নিজস্ব সংবাদদাতা,হুগলীঃ কথিত আছে আগেকার দিনে গ্রামে মহামারি দেখা দিলে মানুষ দেবীপূজার স্বপ্নাদেশ পেতেন। পুজো করলে তবেই মহামারির কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। একশো বছর আগে ঠিক এমনই স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন হুগলী নিবাসী স্বর্গীয় সতীশ চন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়। এলাকায় কলেরা মহামারি থেকে বাঁচতে তিনি প্রথম পঞ্চমুন্ডেশ্বর শীতলা মাতার  পুজোর আয়োজন করেছিলেন হুগলীতে।

{link}

 শতাধিক বছর আগে দেবীর আদেশে সেই পুজো প্রাঙ্গনেই গ্রামের মানুষরা রান্না পুজোর আয়োজন করেছিল বলে লোকমুখে প্রচলিত। সেইথেকে বছরের একটা দিন গ্রামের প্রতিটি পরিবার মন্দির প্রাঙ্গনে মাটির উঁনুনে কাঠের আগুন জ্বালিয়ে রান্না পুজোর আয়োজন করে আসছেন। প্রত্যেক বছর ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষে মঙ্গলবার পঞ্চমুন্ডেশরীর পুজো উপলক্ষ্যে রান্না পুজোর উৎসবে মাতেন হুগলীর দক্ষিন সিমলা গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষ।গত মঙ্গলবার সকাল থেকেই শুরু হয় শীতলা পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে বহু মানুষ এখানে ভিড় জমান। পাশাপাশি রিতী মেনে এদিন মন্দির সংলগ্ন ফাঁকা মাঠ এবং আমবাগানে কাঠের জালে চলে নিরামিষ রান্না।তবে শুধু গ্রামের মানুষের মঙ্গলের জন্যই নয়, এদিন শীতলা পুজোর পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য মায়ের কাছে বিশেষ পুজোপাঠও হয়। এই বিষয় নিয়ে মন্দিরের পুরোহিত তাপস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যে যুদ্ধ চলছে সেই যুদ্ধ থেমে গিয়ে সারা পৃথিবীতে শান্তির বাতাবরণ ছড়িয়ে পড়ুক।

{link} 

 এই রান্না পুজোকে ঘিরেই বছরের একটা দিন এলাকাবাসীরা উৎসবের আনন্দে মাতেন। মন্দিরের নিয়ম মেনে গতকালও গ্রামের কারোর বাড়িতে উঁনুন জ্বলেনি। দুপুরের বেঁচে যাওয়া রান্নাই তারা রাতে খাবে। পুরানোদের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের মানুষরাও রান্না পুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবের আনন্দে মাতেন।যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। শ্বেত কপতের ডানায় শান্তি আসুক নেমে। শান্তির বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বের কোণায় কোণায়।

{ads} 
 

News Russia Ukraine Traditional Puja Panchamundeshwar Hooghly West Bengal India শীতলা পুজো হুগলী সংবাদ

Last Updated :

Related Article

Latest Article