নিজস্ব সংবাদদাতা,নদীয়াঃ মাত্র দশ দিন আগেই কর্মসূত্রে তিনি ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন। হঠাৎই তার পরিবারে খবর আসে ছেলে আত্মহত্যা করেছে। ছেলের আত্মহত্যার কথা শুনে রীতিমত হতবাক তার বাবা-মা। ভিনরাজ্যে গিয়ে আত্মঘাতী নদীয়ার এক যুবক। পরিবারে খবর পৌঁছানো মাত্রই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারসহ গোটা এলাকায়। ঘটনাটি শান্তিপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত চর সারাগর এলাকার। মৃতের নাম রাকেশ ঘোষ (২০)।
{link}
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর কুড়ির ওই যুবক মাত্র ১০ দিন আগে কর্মসূত্রে মহারাষ্ট্রের পুণের একটি হোটেলে কাজ করতে যায়। হঠাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ১০,৩০ নাগাদ পরিবারে খবর আসে ওই যুবক হোটেলের বাথরুমের ভেতরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পাওয়া মাত্রই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। বাবা প্রেমানন্দ ঘোষ বলেন, তিনি সবসময় চাষের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ছেলের সাথে সেইভাবে তার কথা হত না। পরিবারের একাংশ সদস্যদের দাবি, বেশ কয়েক মাস ধরে ওই এলাকার পাশের গ্রামের একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই যুবকের। মাঝেমধ্যেই তাদের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। যার কারণে মানসিক অবসাদে ভুগত ওই যুবক। মানসিক অবসাদ থেকে রেহাই পেতে সম্ভবত রাকেশ ভিন রাজ্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতই চলতি মাসের ১০ তারিখে মহারাষ্ট্রের পুনেতে হোটেলে কাজ করার জন্য যায় ওই যুবক। যুবকের এইভাবে আত্মঘাতীর ঘটনায় প্রেমের সম্পর্কের কারণ বলে দাবি করছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
{link}
যদিও ওই যুবক ভিন রাজ্যে যাওয়ার পরে পরিবারের সকলের সাথে যোগাযোগ রাখত বলে দাবি তার বাবা মা এর। রাকেশের মা বলেন, আজ সকাল ১০,৩০ নাগাদ তিনি ফোন করেছিলেন। কিন্তু রাকেশ ফোন ধরেনি। তার একটু পরেই খবর আসে রাকেশ আত্মহত্যা করেছে। যুবকের এইভাবে মৃত্যুর ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আপাতত মৃতদেহটি বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছে মৃত যুবকের পরিবার।
{ads}