নিজস্ব সংবাদদাতা,নদীয়াঃ প্রতিদিনের মত কারখানা থেকে ফিরে খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমোতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরের দিন সকালে সহকর্মীদের অনেক ডাকাডাকির পরেও ঘুম ভাঙেনি যুবকের। সন্দেহ হওয়ায় সহকর্মীরা তৎক্ষণাৎ স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ভিনরাজ্য থেকে আসা এক আটা কলের শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য।
{link}
ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানার কন্দখোলা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একটি আটা কারখানায়। মৃত যুবকের নাম অনিল সাহানী (২৭)। স্থানীয় সূত্রের খবর, এক মাস আগে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে আটা কারখানায় কাজ করতে এসেছিলেন অনিল। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতেও তিনি খাওয়া দাওয়া সেরে কারখানার ঘরেই শুয়ে ছিলেন। শনিবার সকালে তার সহকর্মীরা দীর্ঘক্ষন ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া পায়নি। অবশেষে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় কারখানার অন্যান্য কর্মীরা। এরপরই চিকিৎসকরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে তিনি অতিরিক্ত মদ্যপান করেছিলেন । মদ্যপান করার পর দীর্ঘ ক্ষণ বাথরুমের ভেতরে শুয়েছিলেন তিনি। তার সঙ্গীরা পরবর্তীকালে তাকে তুলে এনে ঘরে শুইয়ে দেয়। তিনি আরো জানান, ভোর তিনটের সময় তিনি জল খেয়েছিলেন। কিন্তু ভোরবেলা ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ না মেলায় সন্দেহ হয় তাদের।
{link}
অনিলের সহকর্মীদের অনুমান, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে তার। এর পাশাপাশি তারা অভিযোগ তোলেন, কারখানা সংলগ্ন রাস্তার পাশে একাধিক দোকানে বেআইনিভাবে প্রতিনিয়ত মদ বিক্রি হয়। শুধু তাই নয় প্রশাসনের নজর এড়িয়ে রমরমিয়ে চলে মধুচক্রের আসর। সেই কারণেই কারখানায় আসা শ্রমিক এবং মহিলা আসক্ত হয়ে পড়ছে। যদিও মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ। কিভাবে ওই যুবকের মৃত্যু ঘটলো তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে তবেই স্পষ্ট হবে এমনটা পুলিশ সূত্রে খবর।
{ads}