বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম’ গানটি বাংলার বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকরের। এই একটি গানেই রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গিয়েছেন ভুবন। তবে শুধু তিনি নন, এই গান আরও অনেকেরই জীবনে নিয়ে এসেছে সুখের হাওয়া। উল্লেখযোগ্যভাবে তাঁর গানে লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে উত্তর প্রদেশের বাদাম ব্যবসায়ীদেরও। কি অবাক লাগছে? সত্যি কিন্তু তাই-ই।
{link}
ফি বছর শীতে উত্তরপ্রদেশ থেকে বেশ কয়েকজন চিনেবাদাম বিক্রেতা দু্র্গাপুর সহ এ রাজ্যের বিভিন্ন শহরে এসে বাদাম বিক্রি করেন। রাজস্থানের জয়পুর থেকে তাঁরা বাদাম সংগ্রহ করে জাতীয় ও রাজ্য সড়কের পাশে ডাঁই করে বাদাম রেখে বিক্রি করেন পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলায়।মাস দুয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বীরভূমের বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকরের কাঁচা বাদাম গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তার পরেই এক লহমায় বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে বাদামের বিক্রি।
উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলা থেকে দুর্গাপুরে বাদাম বিক্রি করতে আসা এক বিক্রেতা বলেন, ‘’সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসে ৪০ কেজির বাদামের বস্তা বিক্রি হতে ৪-৫ দিন লাগত। ডিসেম্বর মাসে হঠাৎই কাঁচা বাদামের খোঁজ করতে থাকেন ক্রেতারা। হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণ বুঝতে পারিনি। পরে শুনলাম, এক গ্রাহক কাঁচা বাদাম গান শুনিয়ে জানালেন, গানটি ভাইরাল হয়েছে। তখনই বুঝতে পারি, কাঁচা বাদামের চাহিদা বাড়ার কারণ। তাই গ্রাহক টানতে আমরাও গানটি বাজাচ্ছি।
{link}
উত্তর প্রদেশের এই ব্যবসায়ীদের নিয়ে আসা বাদাম বেশ উন্নত মানের। বিশেষ পদ্ধতিতে ভাজার কারণে এই ইউপি বাদামের চাহিদাও প্রচুর। তবে গত দু-মাসে যেভাবে বিক্রি বেড়েছে, তা আগে ছিল না বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের। গান শুনেই যে বাদাম কিনতে আসছেন, তা জানাচ্ছেন ক্রেতারাও। কাঁচা বাদাম গানের টানেই যে বাদাম খাওয়ার ইচ্ছে বেড়েছে, তাও মানছেন একাধিক বাদাম ক্রেতা.
{ads}