header banner

ফের ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে বাঁধ ভাঙার ইঙ্গিত,দুশ্চিন্তায় পাথরপ্রতিম

article banner

সুদেষ্ণা মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ ঝড়ের পূর্বাভাসে ফের নতুন করে নদীবাঁধ ভাঙার ইঙ্গিত। তাই বেহাল নদীবাঁধ ভাঙার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমা ব্লকের অচিন্ত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেপ্লট এলাকার মানুষজন। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই হাওয়া অফিস ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। যার ফলে নদীতে প্রবল জলোচ্ছাস হতে পারে।

{link}

এমনকি প্রচন্ড ঝড়ের দাপটে নদীবাঁধ, গাছপালা, ঘরবাড়িও ভেঙে পড়তে পারে। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে গোটা সুন্দরবনের মানুষজন। দুশ্চিন্তা জেঁকে বসেছে কেপ্লট ভোক্তাপাড়র একশোটি পরিবারের মানুষজনদের মধ্যে। গ্রামবাসীদের আবেদন, বেহাল নদীবাঁধ গুলিকে দ্রুত কংক্রিটের স্থায়ী বাঁধ তৈরী করে দিক সরকার। না হলে ভেসে যাবে গোটা গ্রাম। উল্লেখ্য, গত বছর ইয়াশের দাপটে নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল গোটা গ্রাম। যার দগদগে ঘা এখনও শুকায়নি। তারপর থেকেই লবণাক্ত জলের জন্য চাষবাসও প্রায় বন্ধ। পুকুরের জলও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। যদিও আমফানের পরে পূর্ত দফতরের উদ্যোগে নদী বাঁধে ইটের ব্লক এবং মাটি ফেলে সংস্কার  করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আবার সেই একই অবস্থা। নদীর জোয়ারের জন্য ঠাকুরান নদীর ঢেউয়ে অধিকাংশ জায়গার পাইলিং ও ইটের ব্লক নদীতে চলে গিয়েছে। বিশাল চওড়া নদীর বাঁধ এখন সংকীর্ণ বাঁধে পরিণত হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে নদীর বাঁধ ভেঙে আবার এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

{link}

 তাই ইতিমধ্যেই এলাকার মানুষজন নদীবাঁধে দাঁড়িয়ে কংক্রিটের ঢালাই বাঁধ করার জন্য আবেদন জানিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে, অচিন্ত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দুঃখিশ্যাম শিট জানান, এই সমস্ত নদীবাঁধ করার মত ক্ষমতা পঞ্চায়েতের নেই। পূর্ত বা সেচ দপ্তরের দায়িত্ব এই ধরণের নদী বাঁধ তৈরী করার। ইতিমধ্যেই সেচ দপ্তরের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও এলাকাবাসীদের একটাই ক্ষোভ, দীর্ঘ কয়েক বছর চলে গেলেও নদীবাঁধ ভালোভাবে সংস্কার বা কংক্রিট ঢালাই করা হয়নি। আগামী বর্ষাকালের আগে কি আদৌ সংস্কার সম্ভব? এর উত্তর সময় বলবে।

{ads}
 

News Weather office has already forecast the cyclone Achintyanagar gram panchayet Patharpratima Block Sundarban South 24 Pargana West Bengal India

Last Updated :